যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত কুখ্যাত দেলাওয়ার হোসাইন সাইদীর মুক্তি দাবি করা শিক্ষকদের চিহ্নিত করে শাস্তি চেয়েছে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণট্রাস্টের সদস্য-সচিব অধ্যক্ষ মো: শাহজাহান আলম সাজু আজ ২৫ মার্চ দৈনিক শিক্ষায় পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবি করেন।
তিনি বলেন, বেসরকারি শিক্ষক ফোরাম নামের ফেসবুক পেজের এডমিনদের খুঁজে বের করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাাই। নুরুল আলম কিভাবে শিক্ষক বাতায়নের অ্যাম্বাসেডর হলেন? সরকারের বেতন-ভাতা নিয়ে কিভাবে আদালতের রায়ে সাজাভোগ করা রাজাকার সাঈদীর মুক্তি দাবি করে?
শাহজাহান আলম সাজু বলেন, ‘যারা রাজাককার শিরোমনি যুদ্ধাপরাধী কুখ্যাত দেলোয়ার হোসেন সাঈদির মুক্তি চায় তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা উচিত। ফোরামের পেইজ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার,ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানো নতুন ঘটনা নয়। ফোরামের ব্যানারে কারা সংঘবদ্ধ হয়ে বেসরকারি শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি আদায়ের নামে সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের উসকানি দিচ্ছে রাজাকার সাঈদির মুক্তির দাবির মধ্য দিয়ে দেশবাসীর কাছে তা আজ পরিস্কার হয়েছে।’
সাঈদীর মুক্তি দাবি করে ২৪ মার্চ প্রথমে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন নুরুল আলম নামের একজন শিক্ষক। তিনি বেসরকারি শিক্ষক ফোরামের ফেসবুক পেইজের এডমিন। এরপর নুরুল আলমের দাবি বিপক্ষে অবস্থান নেয়া শিক্ষকদের বিভিন্নভাবে কটুক্তি করেন নুরুল আলম ও তার সমমনা সহকর্মীরা। আজ ২৫ মার্চ দৈনিক শিক্ষায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তর ও সংগঠনের নজরে আসে। নিরপেক্ষ শিক্ষকদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ফেসবুক পেইজটির এডমিন নুরুল আলম, এনামূল ইসলাম মাসুদ, সবুজ হাসানসহ অন্যান্যরা। তবে, নুরুলদের পক্ষেও কিছু শিক্ষককে মন্তব্য করতে দেখা যায়। তারা সাঈদীর পক্ষে কথা বলে যাচ্ছেন।