বগুড়ার শেরপুরে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে রাস্তা থেকে ধরে এনে চেইন দিয়ে মারধর ও হাঁটুতে পেরেক ঢুকিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছাত্রের নাম রেজাউল করিম। সে দশম শ্রেণিতে পড়ে। বাবার নাম কলিম উদ্দিন। বাড়ি শেরপুরের ঘোষপাড়ায়। আর এ অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে সন্ত্রাসী এমরান শুভ ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে উপজেলার বনমরিচা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। করিমকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সন্ধ্যার দিকে ছাত্রের বাবা শেরপুর থানায় শুভসহ ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন।
থানার ওসি (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকা শুভ আরও দুটি হত্যা চেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত হলেও পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সে প্রকাশ্যে চলাফেরা ও থানায় পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আড্ডা দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, করিম স্থানীয় ডিজে হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সে বনমরিচা গ্রামে চাচার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিল। এ সময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে ইমরান শুভ ও তার সঙ্গীরা করিমকে আটক করে। তারা তাকে সাইকেলের চেইন দিয়ে বেদম মারধর ও ডান হাঁটুতে পেরেক ঢুকিয়ে নির্যাতন করে। করিমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে শেরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এলাকাবাসী জানান, রতন ড্রাইভারের ছেলে ইমরান শুভ ও তার সঙ্গীরা গত বছরের ২১ জুলাই রাত ১১টার দিকে শ্রীরামপুরপাড়ায় মফিজ মেম্বরের ছেলে আমিনুল ইসলামকে হাম্বল দিয়ে পিয়ে একটি পা ছিন্নভিন্ন করে দেয়। তার অপরাধ তিনি পৌর নির্বাচনে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছিলেন। আমিনুল দীর্ঘদিন চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এ মামলা ডিবিতে আছে। এছাড়া শুভ একই বছর জানুয়ারিতে জোবায়েদ আহমেদ বাপ্পী নামে এক যুবককে হত্যার চেষ্টা করে। নির্যাতনের শিকার আমিনুল ইসলাম অভিযোগ করেন, মামলা থাকার পরও আওয়ামী লীগের এক জনপ্রতিনিধির আশ্রয়ে থাকায় পুলিশ শুভকে গ্রেফতার করে না। সে শেরপুর থানায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আড্ডা দেয়।
শেরপুর থানার এসআই শামীম জানান, স্কুলছাত্র করিমকে চেইন দিয়ে মারধর ও ডান হাঁটুতে পেরেক ঢুকানোর চিহ্ন দেখা গেছে। শুভর থানায় আড্ডা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শেরপুর ছোট শহর; সবাই সবার চেনা। তাই অনেকেই থানায় যাতায়াত করে থাকেন।