ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের গাফিলতির কারণে দেউলা ২৮ নং ঝিটকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১৫ সালের প্রায় দুই শত সেট বই পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।
তবে প্রতিষ্ঠান বলছে ১২৬ সেট বই অতিরিক্ত থাকার পর শিক্ষা অফিসে তা দিতে চাইলে তারা ফেরত নেয়নি।
এ বছরেও অতিরিক্ত শিক্ষার্থী দেখিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক চাহিদার চেয়ে বেশি পরিমান বই নিয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এ ব্যপারে নিরব ভুমিকায়।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২৮ নং ঝিটকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪টি আলমারী ভর্তি বই। এগুলো খুলতেই দেখা যায় সব গুলো ২০১৫ সালের বই। চাহিদার চেয়ে অধিক পরিমাণ বই ওই স্কুলে দেওয়া হয়েছে। এখনও ওই স্কুলে প্রায় দুই শত সেট নতুন বই রয়েছে। কিন্তু কি কারণে এতগুলো বই দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অফিস তারও সঠিক উত্তর মিলছে না।
২০১৬ সালেও অনেকটা একই ঘটনা। গত শনিবার পর্যন্ত ওই স্কুলে বই বিতরণ করার পরও অনেক অতিরিক্ত বই দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজিজুল ইসলাম বলেন, গত বছরের অতিরিক্ত ১২৬ সেট বই উপজেলা শিক্ষা অফিসে দিতে চাইলেও তারা নিতে চায় নি। এ বছর আরো নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি হলে এ অতিরিক্তি বই থাকবে না বলে তার দাবি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.তোফাজ্জল হোসেনের বলেন, ত বছর আমি এ উপজেলায় যোগদান করেনি বলে এ বিষয়টি আমার জানা নেই।
তবে সহকারী শিক্ষা অফিসার মো.নজরুল ইসলাম বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, স্কুলে বই রাখা কোন সুযোগ নেই। যদি এ ধরনের ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায় তা হলে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।