স্কুলে গাওয়া হয় না জাতীয় সংগীত - দৈনিকশিক্ষা

স্কুলে গাওয়া হয় না জাতীয় সংগীত

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি |

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের একটি বেসরকারি স্কুল আইডিয়াল একাডেমি। ওই ইউনিয়নের কয়েকজন ব্যক্তি মিলে স্কুলটির প্রতিষ্ঠা করেন। তবে স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় না, পালন করা হয় না কোনো জাতীয় দিবস। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় সচেতন মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।

জানা যায়, ২০১৮ সালে আইডিয়াল একাডেমি তাদের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। স্কুলটিতে নার্সারি থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। বর্তমানে ১২৭ জন শিক্ষার্থী সেখানে পড়াশোনা করছে।

স্থানীয়দের দাবি স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবির স্কুলটি পরিচালনা করছে। পাকিস্তানি সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী এই গোষ্ঠী স্কুলের নামে এই প্রতিষ্ঠানে দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, এই স্কুলে শিক্ষার্থীদের দেশ ও দেশাত্ববোধের কোনো শিক্ষা দেওয়া হয় না। এর বিপরীতে রক্ষণশীল ধর্মীয় শিক্ষার নামে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের মতাদর্শে পরিচালিত করা হয় ছাত্রদের। স্কুলে জাতীয় সংগীত ও জাতীয় কোনো দিবস পালন করার সুযোগ নেই শিক্ষার্থীদের। এর বিপরীতে বিভিন্ন রকমের ধর্মীয় উস্কানিমূলক বই নিয়ে বিশেষ পাঠদান করানো হয়।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্র জানায়, এই প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের অনুমতি নেই। অনুমতি ছাড়াই তারা কার্যক্রম চালাচ্ছে। স্কুলের বিতর্কিত কার্যকলাপের জন্য স্থানীয় জনগণ ও মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষুব্ধ। অভিযোগ রয়েছে তারা জাতীয় দিবস পালন করে না বরং জাতীয় সংগীত না গাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেন।

এ বিষয়ে আইডিয়াল একাডেমির সহকারী শিক্ষক সাহেব আহমদ বলেন, বিজয় দিবসে আমরা দোয়া মাহফিল করেছি। আর শহীদ মিনার অনেক দূর তাই ফুল দেওয়া হয় না। আর পুষ্পস্তবক দেওয়া সরকারি কোনো নির্দেশনাতেও নাই এমনকি র‌্যালির কথাও নাই।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ দিয়েছেন তাই এ বছর আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থীদের বই আটকে দেওয়া হয়েছে। এজন্য আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে।

মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক বলেন, এতো কষ্ট করে রক্তের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন করেছি। সেই স্বাধীন দেশে একটি স্কুলে রাষ্ট্রের আইন মানে না আমরা জীবিত থাকতে এটা মানতে পারি না। এই স্কুলটি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির ধারা নিয়ন্ত্রিত এবং তাদের আদর্শের মানুষ এখানে শিক্ষকতা করছে। স্কুলের ভেতর জামায়াতের দলীয় কার্যক্রম চালায় তারা। এটা বন্ধ করতে হবে।

বড়লেখা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম আল ইমরান জানান, এই প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের কোনো অনুমতি নেই। অভিযোগ থেকে আমরা জেনেছি, তারা জাতীয় কোনো অনুষ্ঠান পালন করে না। শিক্ষকরাও বিতর্কিত একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037269592285156