বিদ্যালয়ের মাঠের পর ব্যস্ত সড়ক। মাঠে খেলাধুলায় ব্যস্ত শিশুরা। সীমানাপ্রাচীর না থাকায় ফুটবল ও ক্রিকেটের বল প্রায়ই সড়ক পেরিয়ে যাচ্ছে। আর তা ফিরিয়ে আনতে ঝুঁকি নিয়ে ছুটে যাচ্ছে ওরা। এ জন্য যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার রানীশংকৈল-হরিপুর সড়কঘেঁষা সীমানাপ্রাচীরবিহীন ওই বিদ্যালয়টি হলো হাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ১৯৯২ সালে। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১২৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীর না থাকায় খেলাধুলার সময় মাঠ পেরিয়ে ফুটবল ও ক্রিকেট বল প্রায়ই সড়ক পেরিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা দ্রুতগামী যানবাহন উপেক্ষা করে বল ফেরত আনতে দৌড়ে সড়ক পেরিয়ে যাচ্ছে।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম বলে, খেলার সময় প্রায়ই ফুটবল রাস্তার ওপারে চলে যায়। তা ফেরত আনতে রাস্তার ওপাশে যেতেই হয়। স্কুলের সীমানাপ্রাচীর থাকলে সহজে বল আর রাস্তায় যেত না।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুদ রানা জানায়, গত সপ্তাহে বল আনতে গিয়ে তাদের এক সহপাঠী মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আহত হয়।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রওশন আরা খাতুন বলেন, বিদ্যালয়ের ভবনটি সড়কের একেবারে পাশে হওয়ায় শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যে সময়টুকু ক্লাস থাকে না, তখন তাঁকে সব সময় শিক্ষার্থীদের চোখে চোখে রাখতে হয়। তবুও বাচ্চারা সুযোগ পেলেই রাস্তা পেরিয়ে ওপারে চলে যায়। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন তিনি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল আলম বলেন, পাহারায় থাকার পরও শিক্ষার্থীরা অনেক সময় ক্লাসের ফাঁকে দৌড়ে ঝুঁকি নিয়ে সড়কের ওপারে দোকানে চলে যায়। সে সময় ওদের নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে হয়। সমস্যার কথা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে জানানো হয়েছে।
রানীশংকৈল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য বিদ্যালয়টির সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা জরুরি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।