মাহবুবুর রহমান ভূঞা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ফার্মেসি বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের ছাত্র মাহবুবুর রহমান ভূঞা হত্যাকাণ্ডের ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও সুষ্ঠু বিচার পায়নি তার পরিবার ।
ফার্মেসি দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী জামিল আহমেদের কাছ থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৮ আগস্ট বাস ভাড়া নিয়ে স্থানীয় লোকাল বাস কন্ট্রাক্টর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে বাস মালিক-শ্রমিক সমিতি ওই দুজন শিক্ষার্থীকে আটকে রাখে। পরবর্তীতে এ ঘটনার প্রতিবাদ করার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে স্থানীয় বাস মালিক-শ্রমিক সমিতির সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মাহবুবুরকে কুপিয়ে হত্যা করে বাস মালিক-শ্রমিক সমিতির সদস্যরা।
মাহমুদুর নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলার সিদ্দিকুর রহমান ভূঞার ছেলে । তার বড় ভাই মাহমুবুর রহমান বলেন, ‘তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আবুল খায়ের এবং প্রক্টর আনিস মুরাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ঘটনার পরপর সুধারাম থানায় (নোয়াখালী সদর) মামলা করেন। হত্যার দুই বছর পর উপাচার্যের বদলি ও প্রক্টর শিক্ষাছুটিতে চলে যাওয়ায় এবং নতুন উপাচার্য অধ্যাপক সাইদুল হক চৌধুরী নিয়োগের পরপরই মামলার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন , ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দ্রুত বিচারের আশ্বাস দেওয়া হলেও হত্যার দশ বছর পেরিয়ে গেছে। এখনও বিচারের কাজ সম্পন্ন হয়নি ।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমাকে চাকরির প্রতিশ্রুতি ও আমার ভাই মাহবুবুরের নামে একটি হলের নামকরণ করার কথা থাকলেও কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি।’ এগুলো বাস্তবায়নের জন্য তিনি উপাচার্যের সাহায্য কামনা করেন ।
এ ব্যাপারে বর্তমান প্রক্টর মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এই ঘটনাটি খুবই নির্মম। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান স্যার খুবই আন্তরিক।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।
এদিকে মঙ্গলবার ( ৮ আগস্ট) ফার্মেসি বিভাগের উদ্যোগে বাদ যোহর মাহমুদুর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয় ।