আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে ২০১৬ সালের শিক্ষা জরিপ কার্যক্রম। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) কর্তৃক অনলাইনে পরিচালিত এ জরিপের মাধ্যমে ৪০ হাজার মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর পলাশীতে ব্যানবেইস মিলনায়তনে জরিপের তথ্য সংগ্রহের ছক চূড়ান্তকরণসহ জরিপ পরিচালনা কৌশলের উপর এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কর্মশালায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘বিন্যামূল্যে পাঠ্যপুস্তক, উপবৃত্তি, টিউশন ফি মওকুফ, বিদ্যালয়ে দুপুরের খাবার সরবরাহ, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞানের অতিরিক্ত অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের মতো শিক্ষাবান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে গত সাড়ে সাত বছরে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া ব্যাপক হারে কমেছে।’
ব্যানবেইস পরিচালিত শিক্ষা জরিপ শিক্ষা অবকাঠামো নির্মাণ ও শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত শিক্ষার্থী সামলাতে গত সাড়ে সাত বছরে সারা দেশে ১১ হাজার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় নতুন ভবন নির্মাণ করেছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর।’
তবে জরিপের লক্ষ্যে ব্যানবেইসের দেয়া তথ্য ছকের মান নিয়ে কিছু প্রশ্ন রয়ে গেছে। ভুল-বিভ্রান্তি সম্বলিত এ তথ্য ছক নিয়ে মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামানসহ অনেকেই এর পরিপূর্ণ মান নিয়ে অসংগতি প্রকাশ করেন। তবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতিবারই জরিপের তথ্য ছকে নতুন নতুন বিষয় সংযোজন করা হয়। এবারো এর ব্যতিক্রম হয়নি। তবে যেসব প্রয়োজনীয় তথ্য এখানে তুলে ধরা হয়নি সেগুলো আবার যোগ করে পূর্ণাঙ্গ তথ্য ছক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে প্রদান করা হবে এবং জরিপের তথ্য ছকের অনলাইন মাধ্যমে সংযোজন করা হবে।
এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, ব্যানবেইসের কর্মপরিধি পূর্বের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এখন এর কাঠামো পরিধি বৃদ্ধিরও সময় চলে এসেছে। কাজেই খুব শিগগিরই ব্যানবেইসকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের মত একটি অধিদপ্তর হিসেবে গঠন করা হবে। যাতে এর কাজ করতে কোন ধরনের সমস্যা না হয়। আর সবাই যাতে শিক্ষা সম্পর্কিত সকল তথ্য এখান থেকে খুব সহজেই পেতে পারে।
ব্যানবেইস পরিচালক মোঃ ফসিউল্লাহ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষা সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এম ওয়াহিদুজ্জামান এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এস মাহমুদ, মোঃ হেলাল উদ্দিন, অশোক কুমার বিশ্বাস, এস এম এহসান কবির, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মাহাবুবুর রহমান এবং ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেন মোল্লা বক্তব্য রাখেন ।