২১০০ সাল নাগাদ আমরা আর ঘর থেকে বের হতে পারব না! - দৈনিকশিক্ষা

২১০০ সাল নাগাদ আমরা আর ঘর থেকে বের হতে পারব না!

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে দক্ষিণ এশিয়ায়- বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানজুড়ে তাপমাত্রা এত বাড়বে যে মানুষ আর ঘর থেকে বের হতে পারবে না। আর তাপদাহে সবচেয়ে বেশি বিপর্যয় নেমে আসবে গঙ্গা ও সিন্ধু নদীর অবববাহিকায় অবস্থিত কৃষি অঞ্চলে। ইতিমধ্যেই ভারত ও পাকিস্তানে এই ধরনের তাপদাহ দেখা গেছে। ২০১৫ সালে ভারত ও পাকিস্তানে তাপদাহে ৩,৫০০ মানুষ মারা গেছে।

ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভুমি অঞ্চলে বসবাসরত মানুষদের এক তৃতীয়াংশ মানুষই চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদিনা এখনই বিশ্ব সম্প্রদায় কার্বন নিঃসরণ কমানোর নির্ধারিত লক্ষমাত্রা পূরণ না করে। এই অঞ্চলে বর্তমানে প্রায় ১৫০ কোটি মানুষের বাস রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১৩ কোটি মানুষ ঘর হারাবে বন্যা ও সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়ার কারণে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি)-র সাবেক গবেষণা বিজ্ঞানী এবং বর্তমানে হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক ইউন-সুন ইম এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে গঙ্গা ও সিন্ধু নদীর অববাহিকার ঘনবসতিপূর্ণ কৃষি অঞ্চল। ’

সম্প্রতি এই বিষয়ে তার নেতৃত্বে এই বিষয়ে একটি গবেষণা করা হয়।

এর আগের গবেষণাগুলোতে সাধারত শুধুমাত্র তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার বিবেচনায় ঝুঁকি নির্ণয় করা হত। কিন্তু এই গবেষণায়ই প্রথম বাতাসের আর্দ্রতা এবং প্রতিক্রিয়ায় মানবদেহের ঠাণ্ডা হওয়ার ক্ষমতাকেও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এই গবেষণার ফলে এখন এই হিসাবও হয়তো পাওয়া যাবে যে, কবে থেকে জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের জন্য চরম বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু বিজ্ঞানী ক্রিস ফিল্ড বলেন, ‘২১০০ সাল নাগাদ তাপমাত্রা এতটাই তীব্র হবে যে লোকে ঘর থেকে বের হয়ে রোদের দাঁড়ালে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই মারা যাবে। ’

বাংলাদেশ, ভারত আর পাকিস্তানের কৃষি শ্রমিক এবং নির্মাণ শ্রমিকরাই আছে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। কারণ তাদের বাড়িতে এসি নেই। আর এই অঞ্চলের ২৫% মানুষ বিদ্যুত পায় না। আর যেসব এলাকায় শিল্প কারখানা ও কৃষি কাজের জন্য বন উজাড় করা হয়েছে সেসব এলাকার মানুষেরা খুব বেশি ছায়াও পাবে না।

গবেষণায় আরো দেখা গেছে, মাত্র আগামী তিন থেকে চার দশক পরই এই অঞ্চলের ৩০ শতাংশজুড়ে তাপমাত্রা বিপদসীমা অতিক্রম করতে শুরু করবে।

কিন্তু বিশ্ব যদি তাপমাত্রা বাড়ার হার কমাতে পারে তাহলে আর এই ঝুঁকি থাকবে না। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিশ্বকে অবশ্যই প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যেসব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে সেসব পূর্ণ করতে হবে। যাতে বিশ্ব তাপমাত্রা শিল্প বিপ্লবের আগের সময়ের তুলনায় ২ ডিগ্রির বেশি না বাড়ে। বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই শিল্প বিপ্লবের আগের সময়ের তুলনায় ১ ডিগ্রি বেড়ে গেছে। বিশ্ব তাপমাত্রা এভাবে বাড়তে থাকলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে দক্ষিণ এশিয়ার মানুষেরাই।

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.010288000106812