চাকরি জাতীয়করণ করার দাবি জানিয়েছেন ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম প্রহরীরা। একই সঙ্গে অষ্টম পে-স্কেলের আওতায় বেতন-ভাতা দেয়ারও দাবি করেছেন তারা।
রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দফতরি কাম প্রহরী কল্যাণ সমিতি এ দাবি জানায়।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সভাপতি সাধন কান্ত বাড়ই। তিনি বলেন, সারা দেশে প্রায় ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দফতরি কাম প্রহরীরা কর্মরত আছেন। ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে পর্যায়ক্রমে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়।
তাদের বেতন ধরা হয়েছে সাকুল্যে ৭ হাজার ২০০ টাকা। এর পারিশ্রমিকের বিপরিতে তাদের দিনরাত ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। দিনরাত স্কুল পাহারা দিতে হয়। এমনকি তারা বছরে কোনো ধর্মীয় ছুটিও ভোগ করতে পারেন না। একমাত্র বেতনই তাদের সম্বল।
সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেও তারা সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা পান না। ফলে ৩৭ হাজার দফতরি কাম প্রহরী পরিবার-পরিজন নিয়ে অমানবিক জীবনযাপন করছেন।
এ অবস্থায় তারা চাকরি জাতীয়করণ করা ও অষ্টম বেতন স্কেলে বেতন প্রদানসহ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সুযোগসুবিধা এবং ভাতাদি প্রদানের দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি নাসির উদ্দিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক বাবর হোসেন, সমিতির নেতা মোহম মিয়া, রবিউল ইসলাম, আনিসুর রহমান, আরমান হোসেন, মুজিবুর রহমান, মো. বাবু, আল আমিন, আসাদুল হক, রাজু আহমেদ, মো. নূর নবী, মোস্তাক, আলী হোসেন প্রমুখ।