মাধবপুর উপজেলার ৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের সংকট সমাধানে এগিয়ে এসেছেন এলাকাবাসী। উপজেলা শিক্ষা প্রশাসনের উদ্যোগে চলছে নির্মাণ কাজ।
স্থানীয় সচ্ছল ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করে ৪০টি বিদ্যালয়ে তৈরি হচ্ছে একটি করে শ্রেণিকক্ষ। ২০১৩ সাল থেকে প্রাক প্রাথমিক শ্রেণির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হওয়ায় প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ প্রয়োজন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেখানে শুধু তিনটি শ্রেণিকক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন দিয়েই কার্যক্রম চলছে। ২০১৪ সাল থেকে প্রতিবছর জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক শ্রেণি সজ্জিতকরণে ৫হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়ায় প্রাক প্রাথমিক শ্রেণির প্রয়োজনীয়তা আরো গুরুত্ব পায়। অথচ যে সকল বিদ্যালয়ে তিনটি মাত্র শ্রেণিকক্ষ রয়েছে সে সকল বিদ্যালয়ে পৃথক শ্রেণিকক্ষ প্রাক প্রাথমিকের জন্য ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। জায়গার অভাবে প্রাক প্রাথমিক শিশুদের পাঠদান ব্যাহত হয়।
প্রাক প্রাথমিক শ্রেণি চালু রাখা এবং সরকারের নতুন শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করা পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম সচল রাখার জন্য ৪০টি বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও এলাকার সচ্ছল ব্যক্তিদেরকে নিয়ে সভা করেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার ছিদ্দিকুর রহমান। সভায় অল্প খরচে গৃহ নির্মাণের নমুনা উপস্থাপন করা হয়। শ্রেণিকক্ষের অভাব দূরীকরণে এগিয়ে আসেন এলাকাবাসী। এ পর্যন্ত আটটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। নতুন শ্রেণিকক্ষে চলছে পাঠদান। আর ১৫টি বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে। বাকিগুলোতে কাজ শুরু হয়েছে।
আগামী জানুয়ারি থেকে নতুন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা যাবে বলে জানা গেছে। মাধবপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার ছিদ্দিকুর রহমান জানান, এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। দফায় দফায় মটিভেশনাল সভা করতে হয়েছে। এতে এলাকাবাসী সাড়া দিয়েছেন এবং সর্বমহলে এ উদ্যোগটি সমাদৃত হয়েছে।
সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাহমিনা খাতুন বলেন, উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের অভাব পূরণে এলাকাবাসীর উদ্যোগ প্রশংসনীয়।