সাধারণ ধারার স্কুলগুলোতেও চালু হচ্ছে বৃত্তিমূলক বা ভোকেশনাল কোর্স। প্রাথমিকভাবে সেসিপ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ছয়শ স্কুল ও মাদরাসায় ভোকেশনাল কোর্স চালু করা হবে। এ লক্ষ্যে ৫২২টি স্কুলে ২জন করে ল্যাব এ্যাসিট্যান্ট নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। ৪৫ দিনের মধ্যে এসব স্কুলে কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনলজির জন্য একজন ও অন্যান্য ট্রেডের জন্য একজন ল্যাব এ্যাসিট্যান্ট নিয়োগ দিতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বলা হয়েছে। বিষয়টি জানিয়ে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান প্রধানদের গত ৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। একইসাথে দুটি পদে নিয়োগের যোগ্যতাও নির্ধারণ করে দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। সে যোগ্যতায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, ৬ ফেব্রুয়ারি পাঠানো চিঠিতে ল্যাব অ্যাসিসটেন্ট বা কম্পিউটার ল্যাব এ্যাসিট্যান্ট নিয়োগে যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছিল, এইচএসসি ভোকেশনালে ২য় বিভাগ। সর্বশেষ ডিগ্রি ছাড়া সমগ্র শিক্ষা জীবনে যে কোন একটিতে ৩য় শ্রেণি বা সমমান। আর বয়স নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে ৩৫ বছর। তবে, ইনডেক্সধারীদের জন্য বয়সসীমা শিথিলযোগ্য। সে যোগ্যতা পরিবর্তন করে করা হয়েছে, এইচএসসি ভোকেশনাল বা ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায় ২য় বিভাগ এবং সর্বশেষ ডিগ্রি ছাড়া সমগ্র শিক্ষা জীবনে যে কোন একটিতে ৩য় শ্রেণি বা সমমান। তবে বয়সের বিষয়টি আগের মতই থাকছে। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে জারি করা কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো অনুসারে এসব প্রতিষ্ঠানে ল্যাব অ্যাসিসট্যান্ট বা কম্পিউটার ল্যাব অ্যাসিসট্যান্ট নিয়োগ দিতে হবে। এসব পদে বেতন গ্রেড ১৬ (৯৩০০-২২৪৯০ টাকা)।
সূত্র জানায়, ল্যাব এ্যাসিট্যান্ট নিয়োগের যোগ্যতা পরিবর্তন করে একই তারিখ ও স্মারকে বিকল্প চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। পরিবর্তিত যোগ্যতা অনুসারে ২য় বিভাগ এইচএসসি বিএম পাস প্রার্থীরা ডিগ্রি ছাড়া সমগ্র শিক্ষা জীবনে যে কোন একটিতে ৩য় শ্রেণি বা সমমান থাকলে ল্যাব অ্যসিসটেন্ট পদে নিয়োগের আবেদন করতে পারবেন।
জানা গেছে, সাধারণ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও পড়তে হবে ভোকেশনাল কোর্স। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান কারিগরি শিক্ষা বোর্ড পরিচালিত ১২টি ট্রেডের মধ্যে পছন্দ অনুসারে দুটি ট্রেড চালু করতে হবে। বৃত্তিমূলক শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে, কর্মমূখী শিক্ষাকে আরও জনপ্রিয় করতে এবং বেকারত্ব কমাতে এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রতিটি সাধারণ স্কুলে দুটি করে ভোকেশনাল ট্রেড অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে বলে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আর ইতোমধ্যে ভোকেশনাল কোর্স চালুর কাজ শুরু করেছে সরকার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, প্রাথমিকভাবে সেসিপ প্রকল্পের আওতায় নির্বাচিত ৫৪৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃত্তিমূলক কোর্স চালু হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ২ ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর ও ২জন ল্যাব অ্যাসিসটেন্ট নিয়োগে গত ৩ নভেম্বর সম্মতি জানিয়েছে অর্থ বিভাগ। বিষয়টি জানিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে চিঠি দেয়া হয়েছিল গত ১ ডিসেম্বর। চিঠিতে নির্বাচিত সাধারণ স্কুলগুলোতে ২জন ল্যাব অ্যাসিসটেন্ট নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল শিক্ষা অধিদপ্তরকে। ইতোমধ্যে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকটিতে (স্কুল-কলেজ) জনবল কাঠামো সংশোধন করে ২ ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর নিয়োগ করা হয়েছে।
সে প্রেক্ষিতে ৫২২টি স্কুলে দুইজন করে ল্যাব এ্যাসিট্যান্ট নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। ৪৫ দিনের মধ্যে এসব পদে কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে জানাতে হবে। এ দুটি পদে নিয়োগের যোগ্যতাও নির্ধারণ করে দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে জারি করা কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো অনুসারে এসব প্রতিষ্ঠানে ল্যাব অ্যাসিসট্যান্ট বা কম্পিউটার ল্যাব অ্যাসিসট্যান্ট নিয়োগ দিতে হবে। এসব পদে নিয়োগের যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে, এইচএসসি ভোকেশনাল বা ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায় ২য় বিভাগ এবং সর্বশেষ ডিগ্রি ছাড়া সমগ্র শিক্ষা জীবনে যে কোন একটিতে ৩য় শ্রেণি বা সমমান। আর বয়স নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে ৩৫ বছর। তবে, ইনডেক্সধারীদের জন্য বয়সসীমা শিথিলযোগ্য। এসব পদে বেতন গ্রেড ১৬ (৯৩০০-২২৪৯০ টাকা)।
যে ৫২২ স্কুলে এ নিয়োগ দেয়া হবে তাদের তালিকাও প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। দৈনিক শিক্ষাডটকমের পাঠকদের জন্য তালিকা ও এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথি তুলে ধরা হলো।