একবার নয়, পরপর দুইবার প্রধানমন্ত্রীর নাম ভুল বলায় তোপের মুখে পড়েছেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর গুমনতলি ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবদুল মুহিদ। রোববার (১৩ অক্টোবর) মাদরাসায় বর্তমান সরকার নির্মিত দুর্যোগ প্রশমন ভবন অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে এ কাণ্ড ঘটান তিনি। পুলিশ, রাজনৈতিক নেতা-কমী ও স্থানীয় জনগণের ধাওয়ার মুখে শেষ পর্যন্ত তিনি ক্ষমা চেয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।
স্থানীয়রা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সরকার এই মাদরাসায় ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি দুর্যোগ প্রশমন ভবন তৈরি করে দিয়েছেন। আজ ১৩ অক্টোবর দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে এসব ভবন উদ্বোধন করেন। দুর্যোগ প্রশমন দিবসে শ্যামনগর গুমনতলির এই মাদরাসার নতুন ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবর্তে তিনি দুইবার করে বেগম খালেদা জিয়ার নাম বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার। এতে সভাপতিত্ব করেন সাবেক সংসদ সদস্য এ কে ফজলুল হক। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান, ওসি আনিসুর রহমান মোল্লাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন গুমনতলি ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবদুল মুহিদ। তিনি বক্তব্য দিতে উঠেই ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া’ পরপর দুইবার বলেন। মুহুর্তেই উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে ঘোর প্রতিবাদ ওঠে। এক পর্যায়ে তারা মারমুখী হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত মাদরাসার অধ্যক্ষ ক্ষমা চেয়ে জনগনের তোপের মুখে অনুষ্ঠান ছেড়ে পালিয়ে যান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা স্থানীয় সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।