জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মালঞ্চ আল আমিন জরিরিয়া মহিলা ফাজিল মাদ্রাসা অধ্যক্ষের পিটুনিতে আহত হয়েছে ওই মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী সেলিনা মমতাজ শান্তা (১৪)। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ওই পিটুনিতে আহত অবস্থায় তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে মেলান্দহের মালঞ্চ গ্রামের আব্দুস সামাদের মেয়ে।
আহত ছাত্রী শান্তার বাবা আব্দুস সামাদ ও মা নুরেজা বেগম জানান, শান্তা ও তার সহপাঠী সুমাইয়া আক্তার গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মাদ্রাসার পঞ্চম ক্লাশ চলাকালে মাদ্রাসার ক্যান্টিন থেকে পানি পান করে ক্লাসে ফিরছিল। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা তাজউদ্দিন আহম্মেদ ওই সময় ক্লাসে না থাকার কারণে শান্তাকে বেধড়ক পিটুনি দেয়। এ সময় অধ্যক্ষের পিটুনিতে গুরুতর আহত শান্তা মাটিতে পড়ে যায়। এরপরও অধ্যক্ষ ওই ছাত্রীর ঘাড় ও পিঠে পায়ের জুতা দিয়ে পেটাতে থাকলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। এ দৃশ্য দেখে সহপাঠী সুমাইয়া আক্তার দৌড়ে ক্লাসে গিয়ে শিক্ষক ও অন্য সহপাঠীদের জানায়। পরে মাদ্রাসার অন্য শিক্ষকরা আহত অবস্থায় শান্তাকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে এখনও সে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম আতঙ্ক ও এলাকাবাসীর মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা তাজ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, তিনি ওই ছাত্রীকে মারধর করেননি। তবে ক্লাস চলাকালে ক্লাসে না থাকায় তিনি মেয়েটিকে ধমক দিয়ে ভয় দেখিয়েছেন। এতে মেয়েটি দৌড়াতে গিয়ে মাটিতে পড়ে আহত হয়েছে। মেলান্দহের নয়ানগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাবুদ্দিন জানান, মাদ্রাসা অধ্যক্ষের পিটুনিতে মাদ্রাসা ছাত্রী আহত হওয়ার ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে।