ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার সোনাহাজরা মুফিজিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কেএম মাহমুদুল হাসানকে অপসারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে ক্লাস বর্জনের ৮ দিন পর বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকে শ্রেণিকক্ষে ফিরলেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে পদে বহাল থেকে আর্থিক দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে তার অপসারণ দাবি করে আসছিল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক প্রতিনিধি ও এলাকাবাসী।
অধ্যক্ষ অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা করেছিলেন। ওইদিন থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাদ্রাসাটিতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। গত বুধবার রাতে অধ্যক্ষের অপসারণের ঘোষণার পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে শ্রেণিকক্ষে ফেরেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সূত্র জানায়, বিষয়টি সমাধানে গত বুধবার বিকালে মাদ্রাসার শিক্ষক মিলনায়তনে রুদ্ধদার বৈঠকে বসেন মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদ ও স্থানীয় প্রশাসন। ওই কক্ষে অধ্যক্ষ কেএম মাহমুদুল হাসানকেও রাখা হয়। দীর্ঘ সাড়ে ৩ ঘণ্টা কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করা হয়। বিকাল থেকে মাদ্রাসা মাঠে উপস্থিত এলাকার সহস্রাধিক জনতা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু মাইকে উপস্থিত সবার উদ্দেশে বৈঠকের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রেরিত চিঠির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অধ্যক্ষকে অপসারণ করা হলো। যে চিঠিটি এত দিন লুকিয়ে রাখা ছিল। একই সঙ্গে সহকারী প্রভাষক হাফেজ মো. বজলুর রহমানকে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হলো। তাছাড়া সাবেক অধ্যক্ষের অনিয়মের অভিযোগগুলো তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ, নবাবগঞ্জ থানার ওসি মোস্তফা কামাল।