রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যামামলার দুই আসামিকে ধরিয়ে দিতে লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। শুক্রবার দুটি দৈনিক পত্রিকায় একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আরএমপি এই পুরস্কার ঘোষণা করে। বিজ্ঞপ্তিতে তাদের ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে।
দুই আসামির একজন রাবির ইংরেজি বিভাগেরই তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শরিফুল ইসলাম ওরফে খালিদ (২৫)। সে বাগমারা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে। সে প্রায় একবছর ধরে নিখোঁজ রয়েছে।
এদিকে, গত ৪ জুলাই শরিফুলের সন্ধান চেয়ে বাগমারা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে তার পরিবার।
অপর পলাতক আসামি নজরুল ওরফে হাসান ওরফে বাইক হাসান (২৬)। তার বাড়ি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনারহার গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল্লাহ মিয়া ওরফে মুন্না।
নজরুলের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। তবে পুলিশ বলছে, সে জেএমবির একজন সক্রিয় সদস্য এবং অধ্যাপক সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডের সাথে সে সরাসরি জড়িত।
আরএমপির মুখপাত্র ও রাজপাড়া থানা জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) ইফতেখায়ের আলম বলেন, অধ্যাপক সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডে পলাতক শরিফুল ও নজরুলের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। তারা দুজনই জেএমবির সদস্য। এ মামলায় গ্রেফতার এক জেএমবি সদস্য রিমান্ডে থাকা অবস্থায় প্রথম তাদের সংশ্লিষ্টতার কথা জানায়। পরে ওই আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। সেখানেও সে অধ্যাপক সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডে শরিফুল ও নজরুলের জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রেজাউস সাদিকের ভাষ্য, শরিফুল ও নজরুল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তাদের গ্রেফতারে অনেক অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তাদের হদিস মিলেনি। তাই তাদের ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। তথ্যদাতার নাম-ঠিকানা গোপন রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ এপ্রিল সকালে রাজশাহী মহনগরীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাসার সামনে থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে অধ্যাপক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহত শিক্ষকের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে গ্রেফতার হওয়ার পর হাফিজুর নামে এক শিবিরকর্মী অসুস্থ হয়ে মারা যায়।