সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলায় অধিকাংশ স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় নেওয়া হচ্ছে না মাল্টিমিডিয়া ক্লাস।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এটুআই প্রোগ্রামের সহায়তায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারাদেশে সাতাশ হাজারের বেশি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ফকিরহাট উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেওয়া হয়েছে ল্যাব, কম্পিউটার ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর।
তবে এসব কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাদানে ব্যবহার হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অফিসের কাগজপত্র টাইপের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারের সেই নির্দেশ মানছে না। এতে তথ্য-প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের মাধ্যমে পাঠকে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করা, কঠিন বিষয় সহজভাবে তুলে ধরা, শিক্ষার্থীদের সহজে শিখন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা এবং সৃজনশীল প্রশ্নের অনুশীলন কার্যক্রম খুব সহজভাবেই পরিচালনা করা যায়। শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে সরকার তথা শিক্ষা মন্ত্রণালয় সকল শিক্ষার্থীর জন্য তথ্য-প্রযুক্তি বিষয় বাধ্যতামূলক করলেও শিক্ষকদের অনীহা বা গাফিলতির কারণে তথ্য-প্রযুক্তি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান নিতে পারছে না। নানা অজুহাত দেখিয়ে শিক্ষকরা মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নিচ্ছেন না। হাতেগোনা কয়েকটি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় সপ্তাহে বা মাসে দু’একটি মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নেয়া হলেও বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠা্নে কোন ক্লাস হয় না।
একইভাবে দু’একটি ল্যাবে শিক্ষার্থীরা বসার সুযোগ পেলেও অধিকাংশ ল্যাব কক্ষ বছরে একদিনও খোলা পড়েনি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের মনিটরিং না থাকায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাস হচ্ছে না। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা জানান, প্রশিক্ষিত শিক্ষক না থাকা, প্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো না থাকা এবং বিদ্যুত ব্যবস্থা না থাকায় তারা মাল্টিমিডিয়া ক্লাস ঠিকমত নিতে পারছেন না।