অনিয়ম পিছু ছাড়ছে না ইউজিসি কর্মকর্তাদের - Dainikshiksha

অনিয়ম পিছু ছাড়ছে না ইউজিসি কর্মকর্তাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক |

অনিয়ম যেন পিছু ছাড়ছে না বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কর্মকর্তাদের । কখনো আর্থিক অনিয়ম বা অর্থ আত্মসাত্, আবার ঘুষ গ্রহণ এমনকি চুরিরও অভিযোগ উঠেছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় দেখভালের দায়িত্বে থাকা এই প্রতিষ্ঠানের কতিপয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তদারকির স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অনিয়মের অভিযোগে বর্তমানে একজন কর্মকর্তা বরখাস্ত রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

ইবাইস ইউনিভার্সিটি নিয়ে মালিকানা দ্বন্দ্ব রয়েছে। ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়টির ধানমন্ডি ক্যাম্পাস বৈধ হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরির জন্য রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত ইবাইস ইউনিভার্সিটির কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি প্রস্তুত করা হয়; কিন্তু চিঠিটি বিশ্ববিদ্যালয়টির ধানমন্ডি ক্যাম্পাসে না পাঠিয়ে ইউজিসির একটি চক্র আর্থিক সুবিধা নিয়ে ভিন্ন মালিকানায় উত্তরায় পরিচালিত ইবাইস ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে পাঠানো হয়। সে তথ্য দিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। যাতে বিস্ময় প্রকাশ করেন ইউজিসির শীর্ষ কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়নি।

এভাবে নানা অনিয়ম রয়েছে ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।  ইউজিসির দুর্বল দিকগুলো তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছে। এছাড়া এদের বিরুদ্ধে নানা হয়রানির অভিযোগও আছে।

গত বছরের মাঝামাঝি সময় ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. নাছিমা রহমান ও একই বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আতোয়ার রহমান খুলনা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে দশ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন। এর প্রমাণও মেলে। সবশেষে এদের চাকরিচ্যুতও করা হয়।

এর আগের বছর গত ১৮ সেপ্টেম্বরে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ইউজিসির কার্যালয় থেকে র্যাবের হাতে আটক হয়েছিলেন সহকারী পরিচালক ওমর সিরাজ। ওইদিন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের কর্মকর্তা ওমরকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তীতে তিনি অসুস্থ হয়ে মারা যান।

অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ গ্রহণের নানা অভিযোগ রয়েছে ইউজিসির অতিরিক্ত পরিচালক ফেরদৌস জামানের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগে এ যাবত্ দুইবার তিনি প্রতিষ্ঠানটি থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন। সর্বশেষ একটি অনিয়মের অভিযোগ তাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।

এই কর্মকর্তার অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে প্রথমবার সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন ২০০৩ সালের ৫ এপ্রিল। তখন প্রতিষ্ঠানটিতে তার পদবি ছিল গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের সহকারী পরিচালক।

এম এ ওয়ারেছ, ইউজিসির চেয়ারম্যানের দফতরের প্রটোকল অফিসার। এই কর্মকর্তা অসত্ উপায় অবলম্বনের মাধ্যমে কমিশনের চেকের অর্থ আত্মসাত্ করার অভিযোগে অভিযুক্ত হলে ২০০৬ সালে বরখাস্ত করা হয়। তার দুইটি বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত হয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে তদ্বির বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

গত সপ্তাহে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি ডিউটি ফ্রি শপ থেকে টাকা চুরির অভিযোগে এম এ ওয়ারেছকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে ইউজিসি।

বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাডি সেন্টার বা শাখা ক্যাম্পাস সংক্রান্ত কাজে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। যদিও বিষয়টি প্রমাণ পাওয়ার পর মন্ত্রণালয় এই কার্যক্রম আপাতত স্থগিতের সিদ্ধান্ত দেয়।

ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, আমি যোগদানের পর অনিয়ম দুর্নীতি কমেছে। অভিযুক্ত প্রমাণ হবার পর কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের - dainik shiksha পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার - dainik shiksha ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.00673508644104