শিক্ষকরা নিজেদের অন্যদের সঙ্গে তুলনা করে ‘ছোট করছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে বক্তব্যে শিক্ষকদের প্রতি ঈঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, যে তুলনা কোনো দিন হয় নাই, সে তুলনা করা মানে নিজেদের ছোট করা।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দুই দফা বেতন বাড়ানোর কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতো কিছু দেওয়ার পরও কোনো কোনো মহলের তৃপ্তি কেনো হলো না- এটা আমার বোধগম্য হলো না।“সব জায়গায় ক্ষুদ্র এক একটা গোষ্ঠী,” উষ্মার সঙ্গে বলেন তিনি।
অষ্টম বেতন কাঠামো ঘোষণার পর থেকেই গ্রেডে মর্যাদার অবনমন এবং টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
এক পর্যায়ে দাবি পর্যালোচনায় কমিটি করা হলেও বেতন কাঠামোর গেজেটে তার প্রতিফলন ঘটেনি বলে শিক্ষকদের অভিযোগ।
দাবি আদায়ে গত ৩ জানুয়ারি থেকে কালো ব্যাজ পরে ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষকরা। ১১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা রয়েছে তাদের।
বেতন কাঠামো পুনর্নির্ধারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের যে আন্দোলন চলছে তার নেতৃত্বে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থক শিক্ষকরা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পেটে যখন ক্ষুধা থাকে তখন মানুষ অল্পতেই সন্তুষ্ট হয়। যখন ক্ষুধার জ্বালা দূর হয়ে যায় আর বেশি প্রাচুর্য পেয়ে যায় তখন প্রেস্টিজ, ন্যায়, সম্মান, পদায়ন নানা কথা স্মরণে আসে।
মনে হয় একটু বেশি বাড়িয়ে ফেলেছি বেতনটা। সেজন্য এখন প্রেস্টিজ নিয়ে টানাটানি।
সবাইকে নিজের চাকরি নীতিমালা মেনে চলার তাগাদা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যে যেখানে চাকরিতে যায় সে সেখানকার নীতিমালা মেনেই তো সেখানে যায়। সব কিছু তো একটা ডিসিপ্লিনে চলতে হবে। এখন কার সাথে কার তুলনা?