দীর্ঘ আইনী লড়াইশেষে ভাগ্য খুলেছে নয়টি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ৪৭ জন সহকারি অধ্যাপকের। সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের আদেশ অনুযায়ী রোববার (১০ ডিসেম্বর) তাদেরকে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো: সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় জনপ্রশাসন, অর্থ এবং আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রতিনিধি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকও ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সদস্য দৈনিকশিক্ষাডটকমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
ইতিমধ্যে এ প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণ হয়েছে। ফলে, ৪৭ জনের মধ্যে যারা যোগদান করবেন তারা সবাই বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে আত্তীকৃত হবেন বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষকরা রোববার বিকেলে দৈনিকশিক্ষাডটকমকে জানান, ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে নিয়োগের জন্য বিধানমতো পরীক্ষা দিয়ে চূড়ান্তভাবে মনোনীত হলেও তাদেরকে নিয়োগ দেয়নি। এতদিন ইচ্ছাকৃত দেরি করলেও সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের দেয়া রায় বাস্তবায়ন আন্ত:মন্ত্রণালয় সভা আহ্বান করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অবশেষে সিদ্ধান্ত হয় আমাদেরকে নিয়োগ দেয়ার।
জানা যায়, ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা মহানগরীসহ ৬টি বিভাগে ১১টি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরাসরি উদ্যোগে। ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে প্রতিষ্ঠানের স্ব-অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে নয়টি মডেল কলেজে ৪৭ জন সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। সংক্ষুব্ধদের দায়ের করা মামলায় আপীল বিভাগের রায় বাস্তবায়ন করে ১২ই ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে এফিডেভিট করে দাখিল করার বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়।
রোববার আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, ‘৪৭ জনকে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্তের একটি কপি আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতকে জানিয়ে দেয়া হবে দুএকদিনের মধ্যে।’
জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কলেজ শাখা এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের কলেজ ও আইন শাখায় কর্মরত বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের ইচ্ছায় আদালতের রায় বাস্তবায়ন হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।