বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণট্রাস্টের বোর্ডসভায় কতিপয় শিক্ষক নেতার দ্বিমূখী আচরণে উষ্মা প্রকাশ করেছেন শিক্ষাসচিব মো: সোহরাব হোসাইন। গতকাল বুধবার এ দুটি প্রতিষ্ঠানের বোর্ডসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পদাধিকার বলে এ দুটি সংগঠনের চেয়ারম্যান শিক্ষাসচিব। বোর্ড সদস্য কতিপয় শিক্ষক নেতা ‘সরি’ বলেছেন।
নেতৃবৃন্দ শিক্ষাসচিবকে জানান, অবসর-কল্যাণ খাতে ১০ শতাংশ টাকা কর্তনের গেজেট জারির পর সারাদেশের শিক্ষকরা উষ্মা প্রকাশ করেছেন। ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও বৈশাখী ভাতা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ। আর তাই তাদের সেন্টিমেন্টের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতেই সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করতে হয়েছে। সারাদেশের শিক্ষকদের কাছে বলতে হয়েছে যে বর্ধিত চাঁদার সিদ্ধান্ত নেয়া গত বছরের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বোর্ড সদস্য দৈনিকশিক্ষাডটকমকে বলেন, ১০ শতাংশের দুটি গেজেটের বিষয়ে সব শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠক করবেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
বৈঠকের শুরুতে শিক্ষাসচিব জানতে চান, বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয় অবসর-কল্যাণের টাকা পেতে আর তাই সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় চাঁদার পরিমান ৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করার। আপনারা সবাই বৈঠকে উপস্থিত থেকেও সংবাদ সম্মেলন করে কীভাবে তা অস্বীকার করেন। এমন যদি করেন তবে আমি [শিক্ষাসচিব] এই দুটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদে থাকবো না। সচিবের বক্তব্যে সমর্থন দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। এ পর্যায়ে শিক্ষক নেতারা ‘সরি’ বলেন।
কল্যানট্রাস্টের সভা অনুািষ্ঠত হয় আধাঘন্টাব্যাপী।