আইনের পাশাপাশি পরীক্ষা পদ্ধতিতেও সংস্কার আসছে - দৈনিকশিক্ষা

আইনের পাশাপাশি পরীক্ষা পদ্ধতিতেও সংস্কার আসছে

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বিসিএস পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারের পাশাপাশি আইনি সংস্কার আনা হচ্ছে পাবলিক সার্ভিস কমিশনে (পিএসসি)। আইনি সংস্কারের ফলে সাংবিধানিক সংস্থাটির আর্থিক স্বাধীনতা বাড়বে। ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সভাপতি ও সদস্য (কর্মের শর্তাবলী ও বিশেষ অধিকার) আইন-২০১৭’ ও ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন আইন-২০১৭’ সংশোধনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে পিএসসি। মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদনের পর তা বিল আকারে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পিএসসিকে সাচিবিক সহায়তা দিয়ে থাকে।

পিএসসি নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক সংস্থা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বরাদ্দকৃত বাজেট থেকে ইচ্ছামতো ব্যয় করতে পারলেও পিএসসি তা পারে না। জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সম্প্রতি পিএসসিতে গেলে বিষয়টি তাঁর নজরে আনেন পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক। বিষয়টি সংশোধনের জন্য সৈয়দ আশরাফ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে অনুরোধ করেন।

পিএসসি পরিচালিত হচ্ছে ১৯৭৭ সালের সরকারি কর্মকমিশন অধ্যাদেশ অনুযায়ী। অধ্যাদেশটি ইংরেজিতে থাকায় তা বাংলায় করা হচ্ছে। তবে যুগোপযোগী করার জন্য আইনটিতে কিছু সংশোধনী আনা হচ্ছে। এর মধ্যে পিএসসির আর্থিক বিষয়টি অন্যতম। খসড়ার ৯(২) ধারায় বলা হয়েছে, বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করার জন্য সরকারের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করার বাধ্যবাধকতা থাকবে না। সরকারের বরাদ্দ করা বিভিন্ন খাতের অর্থ আন্তঃখাত সমন্বয় করে ব্যয় নির্বাহ করতে পারবে কমিশন।

পিএসসির একজন সদস্য জানান, আর্থিক ব্যয় সমন্বয় করতে না পারায় পিএসসি নানা ধরনের সমস্যায় পড়ছে। একজন পরীক্ষকের যে ভাতা নির্ধারণ করা আছে তার বেশি খরচ করতে পারে না পিএসসি। এমন আরো বেশ কিছু খাত রয়েছে যেগুলো বদলানোর এখতিয়ার পিএসসির নেই।

‘বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সভাপতি ও সদস্য (কর্মের শর্তাবলী ও বিশেষ অধিকার) আইন-২০১৭’-এর খসড়ায় পিএসসির চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কাজের পরিধি ও আর্থিক বিষয় নির্দিষ্ট করা হয়েছে। পিএসসি চেয়ারম্যানের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা নির্ধারণ হবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারকের মতো। আর সংস্থাটির সদস্যদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা নির্ধারণ হবে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের অনুরূপ।

পিএসসির সভাপতি বা সদস্যরা তাঁদের নিয়োগের তারিখে প্রজাতন্ত্রের কাজে নিয়োজিত থাকলে তিনি সেই তারিখে যে পদে ছিলেন সেই পদের অধীনে যে ধরনের ছুটি, অবসর ভাতা, আনুতোষিক ও ভবিষ্য তহবিল সুবিধা ভোগ করতেন, পিএসসিতেও তা পাবেন।

আইনি সংস্কারের পাশাপাশি বিসিএস পরীক্ষায়ও সংস্কার আসছে। বর্তমানের এক হাজার ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা সংস্থাটি ৫০০ নম্বরে নামিয়ে আনতে চায়। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে মৌখিক পরীক্ষার নম্বরও কমিয়ে আনা হবে। বর্তমানে একটি খাতা একবার দেখা হয়। এই পদ্ধতি পাল্টে প্রতিটি খাতাই পুনঃপরীক্ষা করা হবে। বর্তমানে পরীক্ষকরা বাসায় নিয়ে খাতা দেখেন। নতুন নিয়মে খাতা বাসায় নেওয়া যাবে না। পিএসসিতে বসেই খাতা দেখতে হবে।

এসব সংস্কারের উদ্দেশ্য জানতে চাইলে পিএসসির একজন সদস্য বলেন, ‘বর্তমানে মানুষের হাতে সময় নেই। একটি প্রিলিমিনারি থেকে শুরু করে চাকরিতে যোগদান পর্যন্ত বিসিএস শেষ করতে তিন বছর সময় লাগে। একজন প্রার্থী কেন এত দীর্ঘ সময় বসে থাকবেন। এ কারণে আমরা পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কার করতে চাই। তা ছাড়া আইন সংস্কার না হলে পরীক্ষা পদ্ধতিসহ অন্যান্য খাতে যে সংস্কার দরকার তা আনা যায় না। এ কারণে আইনি সংস্কার আনার জন্য আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। শিগগিরই পরীক্ষা পদ্ধতিসহ আরো কিছু সংস্কারের প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। ’

অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি - dainik shiksha চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0071439743041992