জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ অনুযায়ী আধুনিক প্রযুক্তিতে দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অর্থাৎ আইসিটি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হলেও এ বিষয়টি নিয়ে চলছে চরম দুর্গতি। দক্ষ ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ সহ অনেক প্রস্তুতি না নিয়েই বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলেও উঠেছে অভিযোগ।
এদিকে, জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষণার পর ২০১২ সালে শুরু হয় বিভিন্ন শ্রেণীতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়টি পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভুক্তি করণ। ২০১২ তে ৬ষ্ঠ, ১৩ তে সপ্তম, ১৪ তে অষ্টম, ১৫ তে নবম এবং ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে সব বিভাগেই বাধ্যতামূলক করা হয় বিষয়টি।
তবে, অনেক স্কুল বা কলেজে শিক্ষক না থাকা এবং পর্যাপ্ত ক্লাস না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা।
অনেক প্রতিষ্ঠান প্রধান এ বিষয়ের দক্ষ শিক্ষকের বিষয়ে নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করলেও অভিভাবকদের অভিযোগ অস্বীকার করেন কিছু কলেজ অধ্যক্ষ।
আর এ সমস্যা সমাধানে পদ তৈরি করে দক্ষ শিক্ষক নিয়োগসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানালেন শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন।
শুধু বাধ্যতামূলক নয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষার জন্য শ্রেণীতে নিয়মিত পাঠদানের পাশাপাশি হাতে কলমে শিক্ষার প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এ জন্য দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকের পাশাপাশি সমৃদ্ধ কম্পিউটার ল্যাবের প্রত্যাশা শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবার।
