বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) পঞ্চম দিনেও সকাল ৮টা হতে ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেয় তারা।
এর পাশাপাশি সব ধরনের সেমিস্টার পরীক্ষা এবং ক্লাস বর্জনও করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের পাশাপাশি দাবী আদায়ের পাশাপাশি ভিসির অপসারণ দাবীর আন্দোলনে একাত্ত্বতা প্রকাশ করে কাজে যোগ দেয়নি অধিকাংশ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।
এদিকে আন্দোলনের পঞ্চম দিনেও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা কিংবা খোঁজ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরাও তাদের দাবী আদায়ের আন্দোলনে অনড় রয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক যোগদান করেছেন গত দুই বছর। কিন্তু গত দুই বছরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের তেমন কোন উন্নয়ন করেননি। করেছেন শুধু অনিয়ম, দুর্নীতির আর লুটপাট।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, ভিসি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজাকার মুক্ত ঘোষণা করেছেন। কিন্তু কাজ করছেন মুক্তিযোদ্ধাদের বিরোধী। তিনি চলমান নিয়োগ কার্যক্রমে মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণ না করে মুক্তিযুদ্ধ এবং যোদ্ধাদের অবমাননা করেছেন।
তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরী থেকে শুরু করে আবাসিক হল পর্যন্ত নানা সমস্যায় জরজরিত। কিন্তু এ দিকে তিনি কখনই সু-দৃষ্টি দেননি। একজন ভিসি হিসেবে এটা তার ব্যর্থতা বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবীর বিষয়টি উপাচার্য মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে। তিনি বরিশালের বাইরে আছেন। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের ২২ দফা বাস্তবায়নে তিনি কাজ করছেন। খুব শিগগিরই ববি’র বর্তমান সংকট নিরসন হবে বলে আশাব্যক্ত করেন তিনি।