আপস নয়, মৌলবাদের উৎস নির্মূল করুন - Dainikshiksha

আপস নয়, মৌলবাদের উৎস নির্মূল করুন

হায়দার আকবর খান রনো |

পাঠ্যপুস্তক কেলেঙ্কারি ও পাঠ্যপুস্তককে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িকতার অপরাজনীতির সঙ্গে সরকারের আপসরফার যে বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে, তা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। গত বছরের এপ্রিলে হেফাজতে ইসলাম সরকারের কাছে একটি দাবিনামা পেশ করে, যাতে প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণির বাংলা সাহিত্যের পাঠ্যপুস্তকে অনেক সংশোধন পেশ করা হয়। তাদের অভিযোগমতে, পাঠ্যপুস্তকে বিভিন্ন গল্প–প্রবন্ধ–কবিতা নাস্তিকদের দ্বারা রচিত অথবা হিন্দুত্ববাদের প্রাধান্য আছে। এই কারণে তারা তা বাতিলের দাবি করেছে।

মুক্তিযুদ্ধের প্রধান রাজনৈতিক দল এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক বলে দাবিদার বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার হেফাজতের এই দাবি মেনে নিয়ে পাঠ্যপুস্তকের পরিবর্তন সাধন করেছে। ফলে ‘হিন্দু’ অথবা ‘নাস্তিক’—এই অভিযোগে বাংলা সাহিত্যের কয়েকজন বিখ্যাত কবি ও লেখকের অত্যন্ত উৎকৃষ্ট রচনা পাঠ্যপুস্তকের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় এবং ইতিমধ্যে আরও নজরে আসে যে হেফাজতের প্রায় সব দাবি মেনে নেওয়া হলেও তাদের নিষিদ্ধকরণের তালিকাভুক্ত দুটি লেখা এখনো রয়ে গেছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের নজরে আসার পর সে দুটি লেখাও বাদ দেওয়া হয়। তত দিনে ১৫ লাখ বই ছাপা হয়ে গেছে। সেগুলো গুদামে রেখে উপরিউক্ত দুটি লেখা বাদ দিয়ে বই ছাপানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১৫ জানুয়ারি প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের লিখিত প্রস্তাবে ২৯টি বিষয় সংযোজন ও বিয়োজনের কথা বলা হয়েছিল। এর মধ্যে এ দুটি লেখারও উল্লেখ ছিল। ২৭টি লেখা গ্রহণ ও বর্জন করা হলেও দেখা যায়, দাবি অনুযায়ী ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত থাকা অষ্টম শ্রেণির “রামায়ণ-কাহিনি” (লেখক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী) এবং সপ্তম শ্রেণির “লালু” (শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়) গল্প বাদ দেওয়া হয়নি। গল্প দুটিসহ বই ছাপা হওয়ায় বিপাকে পড়ে এনসিটিবি। এরপর ছাপা বই বাতিল করা হয় এবং সংশোধনের পর নতুন করে ছাপা হয়। এই পরিবর্তনে হেফাজতসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক দল সন্তোষ প্রকাশ করেছে।’

পাঠ্যপুস্তক-সংক্রান্ত এই ঘটনা নিঃসন্দেহে প্রমাণ করে যে সরকার হেফাজতে ইসলামের কাছে ক্রমাগত আত্মসমর্পণ করে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে অনেক দূরে সরে আসছে। দেশের ৮৫ জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লেখক, কবি ও বুদ্ধিজীবী একই অভিযোগ করেছেন। তাঁরা বলেন, পশ্চাৎপদ মৌলবাদের তোষণনীতির কারণেই পাঠ্যপুস্তকে এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পরিবর্তনগুলো আনা হয়েছে। এর পেছনে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির যে ভয়ানক বিস্তার রয়েছে, তা কয়েক বছর ধরেই স্পষ্ট। এ বছরের পাঠ্যপুস্তক সেই সাম্প্রদায়িক অপরাজনীতির সঙ্গে সরকারের আপসরফার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ। শরৎচন্দ্রের মতো বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখকের গল্প বাতিল হতে পারে অথবা নাস্তিকতার অভিযোগে হুমায়ুন আজাদের একটি উৎকৃষ্ট কবিতাও বাদ দেওয়া হতে পারে, তা ভাবতেও অবাক হতে হচ্ছে। মনে হয় যেন পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা আমাদের প্রশাসনের মধ্যে সদর্পে ঘোরাফেরা করছে, তা-ও আবার স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি বলে দাবিদার সরকারের আমলেই!

পাঠকের নিশ্চয়ই মনে আছে, মাত্র সাড়ে তিন বছর আগে ২০১৩ সালের ৫ মে এই হেফাজতে ইসলাম বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানোর উদ্দেশ্যে মতিঝিলে জমায়েত হয়ে কী তাণ্ডব সৃষ্টি করেছিল। সিপিবি অফিস, বায়তুল মোকাররমের দোকানপাট ও কয়েকটি সরকারি অফিসে আগুন জ্বালিয়ে সরকারের আসন্ন পতনের লক্ষ্যে তারা বহ্নি উৎসব করেছিল। সেদিন তাদের মিত্র ছিল সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ দল বিএনপি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ধারণা করেছিলেন, হেফাজতি অভ্যুত্থান দিয়ে সরকারের পতন ঘটানো যাবে। কিন্তু সরকারের পতন ঘটেনি। নিরাশ হয়েছিল বিএনপি ও হেফাজত উভয়েই। আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করলাম, এরপর পাশার দান পাল্টে গেল। সরকার উদ্যোগ নিয়ে হেফাজতের সঙ্গে আপস করল এবং সেই আপসেরই সর্বশেষ দৃষ্টান্ত হলো সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে পাঠ্যপুস্তকে এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন। নারীবিদ্বেষী সাম্প্রদায়িক পশ্চাৎপদ হেফাজতে ইসলাম এখন বর্তমান সরকারেরই বন্ধুতে পরিণত হয়েছে। আরও একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। কিছুদিন আগে নারায়ণগঞ্জে একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভদ্রকে সরকারের স্নেহধন্য প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের সদস্য সাংসদ সেলিম ওসমান জনসমক্ষে অপমান করেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। তখন হেফাজতে ইসলাম সরকারি সেই প্রভাবশালী পরিবারের পক্ষেই দাঁড়িয়েছিল। সেলিম ওসমান ও হেফাজত উভয়েরই বক্তব্য ছিল এই যে প্রধান শিক্ষক নাকি ছাত্রদের মধ্যে ইসলামের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন। ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে এই রকম মিথ্যা অভিযোগ তোলা খুবই সহজ ব্যাপার। আমরা সেদিনও দেখলাম, প্রশাসন কোনো ব্যবস্থাই নিতে পারেনি এবং হেফাজতের আস্ফালন নিবৃত্ত করার কোনো প্রচেষ্টাও গ্রহণ করেনি। হেফাজতের সঙ্গে সরকারের মিতালি দেশের জন্য তো বটেই, সরকারের জন্যও দুর্ভাগ্যের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

বর্তমান সরকার, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানা ধরনের আন্তর্জাতিক ও জাতীয় চাপ উপেক্ষা করে প্রধান যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসিও কার্যকর হয়েছে। এ জন্য তিনি নিঃসন্দেহে সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। এ ক্ষেত্রে তিনি যে সাহস ও দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন, তা ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি ও অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ রক্ষার জন্য খুবই প্রয়োজন। কিন্তু একদিকে বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলছে, অন্যদিকে ধর্ম ব্যবসায়ী, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ও তার নীতির সঙ্গে আপস করছে, এই দ্বিমুখী নীতি কারোর জন্য ভালো হবে না। জঙ্গিবাদ দমনেও সরকারের প্রশাসনিক ও পুলিশি ব্যবস্থা আমরা লক্ষ করছি। অনেক ধর্মীয় জঙ্গি ধরা পড়েছে অথবা মারা গেছে। হলি আর্টিজানে আক্রমণকারী বলে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের অধিকাংশই ইতিমধ্যে মারা গেছে, কিন্তু ধর্মীয় জঙ্গিবাদকে পরিপূর্ণভাবে বিনাশ করা গেছে, এমন মনে করা ভুল হবে। আমরা দেখেছি, জেএমবি একসময় ব্যাপক সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছিল। তাদেরও দমন করা গিয়েছিল এবং তাদের প্রধান নেতাদেরও ফাঁসি কার্যকর হয়েছিল। আমরা সাময়িকভাবে আশ্বস্ত হয়েছিলাম এই ভেবে যে এই উপদ্রবের হাত থেকে বাঁচা গেল। কিন্তু দেখা গেল জেএমবি নতুন করে পুনর্গঠিত হয়েছে এবং নতুন নতুন ছোট ছোট জঙ্গি গ্রুপ তৈরি হচ্ছে। এটি একটি ভয়াবহ প্রক্রিয়া। শুধু প্রশাসনের পদক্ষেপ ও দু-একটা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েই এই অশুভ প্রবণতা রোধ করা যাবে না। এর উৎসমূলে আঘাত করা দরকার। প্রশাসনিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ভাবাদর্শগতভাবে এই জঙ্গি মৌলবাদের বিরুদ্ধে অবিরাম সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।

বর্তমান ধর্মীয় জঙ্গিবাদ একটি আন্তর্জাতিক ধর্মীয় মৌলবাদী তৎপরতার অংশ। অবশ্য আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে এ দেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই। হয়তো তা-ই সত্য। তবে আইএস ও ওই ধরনের আন্তর্জাতিক সংগঠনের ভাবাদর্শগত প্রভাব যে আমার দেশে ক্রমবিস্তারমাণ, তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। ভাবাদর্শকে ভাবাদর্শ দিয়েই লড়াই করতে হবে। সরকারের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দল বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার আশায় মৌলবাদী ভাবাদর্শ লালন করছে এবং মৌলবাদী সংগঠন জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওমামী লীগও যদি একইভাবে এই মৌলবাদী দলগুলোকে তোষামোদ করে চলার নীতি অবলম্বন করে, তাহলে প্রধান রাজনৈতিক স্রোত মৌলবাদের অনুকূলেই প্রবাহিত হবে।

ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে দৃঢ় আপসহীন অবস্থান নিয়ে থাকে কমিউনিস্ট ও বাম দলগুলো। কিন্তু তাদের সাংগঠনিক পরিধি অনেক ক্ষুদ্র। তাহলে তো মৌলবাদেরই জয়জয়কার। যে মৌলবাদী ধ্যানধারণা, পাকিস্তানি ভাবাদর্শ ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে আমরা একদিন মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, সেই মুক্তিযুদ্ধের দেশে এই পরিণাম যে কত বেদনাদায়ক, তা ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন পড়ে না।

আমাদের দেশে জাতীয়তাবাদী দলগুলোর ব্যর্থতার কারণেই মৌলবাদের উত্থান এবং গণতন্ত্রের পথ সংকুচিত হওয়ার কারণেই উগ্রপন্থার উদ্ভব ঘটেছে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য, চরম দারিদ্র্য, বেকারত্ব, অনিশ্চয়তা মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ সৃষ্টি করে, তা গণতান্ত্রিক পথে প্রকাশলাভের সুযোগ না পেলে উগ্রপন্থাই বিস্তার লাভ করবে। একদা নকশালপন্থার উদ্ভবও একই কারণে হয়েছিল। বর্তমানে অনেক বঞ্চিত মানুষ ক্ষোভ ও হতাশা থেকে সন্ত্রাসের পথে পা বাড়াচ্ছে। বর্তমান বিশ্বে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন দুর্বল বিধায় তারা ধর্মীয় মৌলবাদের দ্বারা আকৃষ্ট হচ্ছে। সন্ত্রাস, উগ্রপন্থা কখনোই দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না। যে ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের দ্বারা আমরা আক্রান্ত হচ্ছি, তা-ও দীর্ঘস্থায়ী হবে না। তবে তারা যে ক্ষতি করে দিয়ে যাবে, তা খুবই ভয়াবহ হতে পারে।

অন্যদিকে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা কিন্তু ক্ষণস্থায়ী ব্যাপার নয়। প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে সাম্প্রদায়িক মনোভাব লালন করে অনেক মানুষ। এখানে লক্ষণীয় যে হেফাজতে ইসলাম তাদের পাঠ্যপুস্তক-সংক্রান্ত দাবিনামা পেশ করার সঙ্গে সঙ্গে সাম্প্রদায়িক উসকানিও দিয়েছে। তাদের বক্তব্য থেকে একটি লাইন আমি উদ্ধৃত করতে চাই। তারা লিখেছে, ‘রহস্যজনকভাবে জাতীয় শিক্ষাক্রমসহ সরকারি বিভিন্ন শীর্ষ ও গুরুত্বপূর্ণ পদে উচ্চহারে সংখ্যালঘুদের নিয়োগ ও পদায়ন অবশ্যই উদ্বেগ তৈরি হওয়ার মতো বিষয়।’ তাদের এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য পাকিস্তানি আমলের মুসলিম লীগ, জামায়াত প্রমুখ সাম্প্রদায়িক ধর্মভিত্তিক দলগুলোর কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দলগুলো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। জিয়াউর রহমান সংবিধানে সংশোধনী এনে এই দলগুলোকে রাজনীতি করার সুযোগ প্রদান করেন। স্বাধীনতাবিরোধী এই দলগুলো পুরোনো ও নতুন নতুন নামে রাজনীতিতে দোর্দণ্ড প্রতাপে অবস্থান করছে। আর সরকার কোনো অজানা সমীকরণের কারণে তাদের কাছেই আত্মসমর্পণ করছে। এই বিষাক্ত চক্র থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতেই হবে এবং সরকারকে আপসনীতি পরিত্যাগ করে দৃঢ়তার সঙ্গে এই সাম্প্রদায়িক পাকিস্তানপন্থীদের মোকাবিলা করতে হবে। সেটাই আমাদের কামনা।

হায়দার আকবর খান রনো: রাজনৈতিক বিশ্লেষক। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি।

সুত্র: প্রথম আলো

অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি - dainik shiksha চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0060098171234131