মাধ্যমিকের নিবন্ধনধারীকে ইবতেদায়ীতে মনোনীত করেছেহ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ। এতে যারপরনাই বিষ্মিত হয়েছেন প্রার্থী নিজেই। আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে নির্বাচন পদ্ধতি।
ইতিমধ্যে এই তালিকা নিয়ে শিক্ষকমহল এবং মনোনীত প্রার্থীরা ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। তুলে ধরেছেন অনেক ভুল ত্রুটি। পূর্বেও এ নিয়ে দৈনিক শিক্ষাডটকম-এ একাধিক সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায় মো. হুমায়ুন কবির বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের ১০তম পরীক্ষার উত্তীর্ণ নিবন্ধনধারী হিসেবে মাধ্যমিক শাখায় সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন করেছিলেন। সে অনুযায়ী ৯ অক্টোবর প্রকাশিত তালিকায় তিনি মনোনীত হয়েছেন। যার রোল নম্বর: ৩১৪১৪৫৮৯ এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর: ২০১৪১০৬৪৬৩৯। তবে ঝামেলা অন্য জায়গায়।
হুমায়ন কবির অভিযোগ করেন, তিনি কোন প্রাইমারী বা ইবতেদায়ী শাখার জন্য আবেদন না করলেও তাকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে ইবতেদায়ী মাদ্রাসার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে।
তিনি দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, “আমি সহকারী শিক্ষক হিসেবে মাধ্যমিকে ইসলামী স্টাডিস বিষয়ের জন্য আবেদন করলেও আমাকে ইবতেদায়ীর জন্য নির্বাচন করা হয়।” কিন্তু এটাতো কোন ভাবেই মেনে নেয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া আমাকে যে প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে সে প্রতিষ্ঠানেরও বাস্তব কোন ভিত্তি নেই। সেখানে দৃশ্যত কোন জনবল, ছাত্র-ছাত্রী, ভবন কোন কিছুরই কোন চিহ্ন নেই বলে অভিযোগ করেন তিনি।
জানতে চাইলে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এএমএম আজহার দৈনিকশিক্ষাকে মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, “ ৯ অক্টোবর মনোনীতদের তালিকা প্রকাশের পর এরকম বেশকিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তবে কেউ যদি ভুলভাবে আবেদন করে তার দায়িত্ব তো এনটিআরসিএ নেবে না। সে দায়ভার তাকেই নিতে হবে।
“তবে তালিকায় যে একেবারেই ভুল-ত্রুটি নেই তা আমি বলবো না। তালিকায় কিছু সমস্যা আছে এবং সে বিষয়ে খুব শীগ্রই সঠিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
এদিকে হুমায়ন কবির মনে করেন তাকে তার প্রাপ্য চাকরির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে তার ক্ষেত্রে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তা চিহ্নিত করে সমাধানের মাধ্যমে তার মনোনয়ন ও চাকরি নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব পেয়েছে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ। প্রথমবারের মতো তালিকা প্রকাশ করতে গিয়ে বেসুমার ভুল করে সমালোচনার মুখে রয়েছে কর্তৃপক্ষ। ভুক্তভোগীরা ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে।