বরগুনার আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপার ভাইজার সেলিম মাহমুদ বিরুদ্ধে সেকায়েপ শিক্ষা জরিপের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪৫ টি মাদ্রাসায় ১১’শ ৬২ শিক্ষক রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সেকায়েপ শিক্ষা জরিপ গত বছর ২১ ডিসেম্বর শুরু হয়ে এ বছর ৫ জানুয়ারি শেষ হয়েছে। এ জরিপের প্রতিবেদন অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কাজ চলছে। উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপার ভাইজার সেলিম মাহমুদ, শিক্ষক রেজাউল করিম ফরিদ, জাকির হোসেন ও মিলন কর্মকার এ জরিপে কাজ করেছেন। অভিযোগ রয়েছে শিক্ষা জরিপ টিম ফরম পূরণ করে অনলাইনে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কথা বলে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা উৎকোচ আদায় করেছে। এছাড়া একাডেমিক সুপার ভাইজার সেলিম মাহমুদ ১১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জরিপ করতে গিয়ে বিপুল পরিমান অর্থ আদায় করেছেন।
আমতলী মফিজ উদ্দিন বালিকা বিদ্যালয়ের অফিস সহকারি মো. বশির উদ্দিন জানান শিক্ষা জরিপ ফরম নিয়ে ওই কর্মকর্তার (সেলিম মাহমুদ) কাছে গেলে তিনি ২ হাজার টাকা উৎকোচ দাবী করেন। টাকা না দেয়াতে তিনি কাগজপত্র ছুড়ে ফেলে দেয়।
আমতলী একে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারি শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন জরিপ ফরম পূরণ করে অনলাইনে পাঠানোর কথা বলে জনপ্রতি শিক্ষকের কাছ থেকে ৩শ’ টাকা আদায় করছে।
তারিকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনুছ মিয়া জানান অনলাইনের খরচ বাবদ কিছু টাকা দিয়েছি।
অভিযুক্ত মাধ্যমিক একাডেমিক সুপার ভাইজার সেলিম মাহমুদ উৎকোচের বিষয়টি অস্বীকার করেন মুঠোফোনে বলেন আমি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জরিপ করিনি। শুধুমাত্র ১১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জরিপ কাজে ফোনে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাথে কথা বলেছি।
আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা মুঠোফোনে বলেন একাডেমিক সুপার ভাইজার ১১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জরিপ কাজ করেছেন। এ কাজে কোন ধরনের উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।