‘আমার চোখের বিনিময়ে সাত কলেজে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত হোক’ - Dainikshiksha

‘আমার চোখের বিনিময়ে সাত কলেজে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত হোক’

নিজস্ব প্রতিবেদক |

রাজধানীর শাহবাগে পুলিশের  টিয়ারশেলের আঘাতে দৃষ্টিশক্তি হারানো তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর রহমান দেশে ফিরেছেন। ভারতের চেন্নাইয়ের শংকর নেত্রালয়ে চিকিত্সা শেষে গতকাল শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে মালদ্বীপ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তার বড় ভাই নায়েব আলী। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সিদ্দিকুর বলেন, শারীরিকভাবে সুস্থ হলেও আমি চোখে এখন আর কিছুই দেখতে পাই না। আমার চিকিত্সার জন্য আমি রাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানাই। আমার সামর্থ্য ছিল না দেশের বাইরে গিয়ে চিকিত্সা করানোর। রাষ্ট্র আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমার খোঁজ নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি চোখের আলো হারিয়েছি কিন্তু আমার চোখের বিনিময়ে বন্ধুদের জীবনে শিক্ষার আলো ফিরে আসুক। সাত কলেজে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত হোক।

উল্লেখ্য, গত ২০ জুলাই বেলা ১১টার দিকে রুটিনসহ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা শাহবাগে অবস্থান নেন। পুলিশের বেঁধে দেওয়া আধা ঘণ্টা সময়ের পরও অবস্থান চালিয়ে গেলে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে ও লাঠিপেটা করে পুলিশ। এ সময় পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেট সিদ্দিকুর রহমান আহত হন।

সিদ্দিকুর সাংবাদিকদের আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন, অন্ধ  বলে যেন সমাজে আমাকে কোনোদিন হেয় হতে না হয়। আমি নিয়মিত লেখাপড়া করতে চাই ও সম্মানজনক অবস্থান চাই। ওই দিন যে অন্যায় আচরণ হয়েছে আমার ওপর, এর জন্য আমার কারো প্রতি কোনো ব্যক্তিগত আক্রোশ কিংবা ক্ষোভ নেই। তবে তদন্তে যদি কিছু বেরিয়ে আসে তাহলে সেটা রাষ্ট্রীয় ব্যাপার। বিষয়টি রাষ্ট্র দেখবে, প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

এদিকে গতকাল বিকালেই সিদ্দিকুরকে বিমানবন্দর থেকে পুন:রায় জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আরো বেশ কিছুদিন তার চিকিত্সা চলবে বলে পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

মুজিবনগর দিবসে সব স্কুল-কলেজে আলোচনা - dainik shiksha মুজিবনগর দিবসে সব স্কুল-কলেজে আলোচনা মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি পোড়ানো কেমন প্রতিবাদ! - dainik shiksha মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি পোড়ানো কেমন প্রতিবাদ! স্কুলের অর্থ আত্মসাৎ, প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার - dainik shiksha স্কুলের অর্থ আত্মসাৎ, প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার শিক্ষা অধিদপ্তরে ডিজির রুটিন দায়িত্ব, জিয়া পরিষদ সদস্যদের পোয়াবারো! - dainik shiksha শিক্ষা অধিদপ্তরে ডিজির রুটিন দায়িত্ব, জিয়া পরিষদ সদস্যদের পোয়াবারো! জাল সনদে শিক্ষকের একযুগ চাকরির অভিযোগ - dainik shiksha জাল সনদে শিক্ষকের একযুগ চাকরির অভিযোগ ‘পুরো মুসলিম বিশ্ব ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা উদযাপন করবে’ - dainik shiksha ‘পুরো মুসলিম বিশ্ব ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা উদযাপন করবে’ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.006234884262085