নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গত বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়েছে মাত্র ১১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের ৯৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৮৪টিই তাদের নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমা দেয়নি।
প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রতিবছরই সিএ ফার্মের মাধ্যমে নিরীক্ষা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কাছে জমা দেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নিয়ম অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজের পছন্দমতো তিনটি সিএ ফার্মের নাম প্রস্তাব করে। সেখান থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি ফার্মকে নিয়োগ দেয়। প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এ প্রতিবেদন জমা দিতে হয়।
নির্ধারিত সময়ে নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমা না দেওয়া ৮৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে ইউজিসি। গত বুধবার এ সময় বাড়ানো হয়। ওই সময়ের মধ্যে অডিট রিপোর্ট জমা না দিলে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ইউজিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়ে অর্থ কমিটি গঠনের মাধ্যমে তহবিল পরিচালনা করতে হয়। কিন্তু অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়নি। কোথাও নিয়োগ দেওয়ার নামে উদ্যোক্তাদের নিজস্ব লোক বসানো হয়েছে। অর্থ কমিটির সভাও হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা সিটিং অ্যালাউন্স, রক্ষণাবেক্ষণ, কেনাকাটা, বিদেশ ভ্রমণসহ বিভিন্ন খাতের ব্যয় দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ লোপাট করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যয় বাড়িয়ে দিন দিন আয় বাড়িয়ে চলছে।অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হওয়ায় এবং ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা না থাকায় হিসাব জমা দিতে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।