ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬-১৭ সেশনের ভর্তি পরীক্ষায় এফ-ইউনিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুরুল ইসলামকে প্রভাষক পদে ৫ বছরের জন্য পদাবনতি দেয়া হয়েছে। এসময়ে তিনি কোনো ধরণের পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। একই অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হিসাব শাখার সহায়ক কর্মচারী সাইফুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সাধারণ কর্মচারী আলাল উদ্দিনকে ৫ বছর কোনো ইনক্রিমেন্ট দেয়া হবে না আগামী ২ বছর তাদের কোনো প্রমোশন দেয়া হবে না বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৫তম সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হওয়া সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ৩টি আবাসিক হলের নামে অতিরিক্ত পদবী সংযোজন করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল এবং শেখ হাসিনা হলের নাম দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল নামকরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দুর্নীতির ঘটনায় গঠিত তদন্ত প্রতিবেদন ও শোকজের জবাব পর্যালোচনা করেছে সিন্ডিকেট। এতে ফিন্যান্স বিভাগের দুই শিক্ষক রুহুল আমিন, আসাদুজ্জামান এবং বঙ্গবন্ধু হলের কর্মকতা ওয়ালিদুর রহমান মুকুটের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে কেন শাস্তি দেয়া হবে না এ মর্মে শোকজ নোটিশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া ডি-ইউনিটের প্রশ্ন-মিসিং এর ঘটনায় ওই ইউনিটের সমন্বয়কারী প্রফেসর ড. শামসুল আলমের বিরুদ্ধেও শোকজ নোটিশ করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অপর দিকে, আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিফোন অফিসের উপ-প্রকৌশলী তৈমুর রেজা তুহিনকে তার পদ থেকে আজীবনের জন্য কর্মকর্তা পদে পদাবনতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া, প্রকৌশল অফিসের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (ওএসডি) মকবুল হোসেনের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করার বিষয়টি সিন্ডিকেটে গৃহিত হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে চলমান থাকা তদন্ত কমিটির তদন্ত কাজ চলবে।
সিন্ডিকেট সভা শেষে বৃহস্পতিবার বিকেল ভিসির বাংলোয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ভিসি প্রফেসর ড. মো. হারুন উর রশিদ আসকারী এসব তথ্য উপস্থাপন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. সেলিম তোহা, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকবৃন্দ।