ইবির বিভিন্ন খাতে ফি বৃদ্ধি - দৈনিকশিক্ষা

ইবির বিভিন্ন খাতে ফি বৃদ্ধি

ইবি প্রতিনিধি |

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নম্বরপত্র, সনদপত্র, এমফিল সাময়িক সনদপত্র, ট্রান্সক্রিপ্টসহ নামে বেনামে বিভিন্ন খাতে ফি বৃদ্ধি করেছে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩৩তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। তবে অতিরিক্ত টাকা নিলেও সনদের মান বা সেবার কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে জানা গেছে।

সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩৩তম সিন্ডিকেট সভায় প্রভিশনাল সার্টিফিকেট, মূল নম্বরপত্র, মূল সনদপত্র, এমফিল সাময়িক ও মূল সনদপত্র, ট্রান্সক্রিপ্টসহ স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডির সকল সনদপত্রাদি উত্তোলনের ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর আগে ২০০৪ সালের ১লা জুলাই এ সকল ফি নির্ধারণ করা হয়েছিল।

সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রভিশনাল সার্টিফিকেট সাধারণ (১৫ দিনের মধ্যে) ১৫০ এবং জরুরি (৫ দিনে) ৩০০ টাকা করা হয়েছে। যা আগে ছিল ১০০ এবং ২০০ টাকা। মূল নম্বরপত্র উত্তোলনে সাধারণ ১০০ টাকার পরিবর্তে ১৫০ এবং জরুরিতে ১৫০ টাকার পরিবর্তে ২২৫ টাকা করা হয়েছে। স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পরীক্ষার মূল সনদে সাধারণ ও জরুরিতে যথাক্রমে ১০০ এবং ১২৫ টাকা বৃদ্ধি করেছে প্রশাসন। ট্রান্সক্রিপ্টে সাধারণে ১০০ টাকা বৃদ্ধি করে ৪০০ এবং নতুন করে জরুরিতে ৭০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে এমফিল ফিতে ১০০০ এবং পিএইচডির ফিতে ১৫০০ টাকা বৃদ্ধি করেছে কর্তৃপক্ষ। একইভাবে নাম সংশোধন ফি, সনদ সংশোধন ফি, ডুপ্লিকেট সনদ বা নম্বরপত্র, পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ প্রদান ফিসহ মোট ১৮ খাতে ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী জুবায়ের হোসেন বলেন, বিভিন্ন খাতে ফি বৃদ্ধি করলেও সেবা বা পদ্ধতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরে পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয় প্রত্যেকটি কাজের জন্য। ফি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সদনপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্রাদির মান বৃদ্ধি করা খুবই জরুরি। আমাদের সকল প্রকার সনদের মান খুবই বাজে। এছাড়াও এখনো আমরা অ্যানালগ যুগেই রয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন এখন বাস্তবে রূপ নিলেও তার বিন্দুমাত্র ছোঁয়া পড়েনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দফতরে।

এ বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি রেজুয়ান আহমেদ বলেন, শিক্ষা সকল নাগরিকের অধিকার। এটা কখনো ব্যবসায়িক খাত হতে পারে না। প্রশাসন শিক্ষাকে ব্যবসার খাতে পরিণত করেছে। সেবার মান বৃদ্ধি না করে ফি বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিকতা নেই। বর্ধিত ফি না কমালে আমারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলনে যাবো।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, সময় ও যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা সামন্য পরিমাণ ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে খেয়াল রেখেছি যেন শিক্ষর্থীদের কখনো চাপ না হয়। ২০০৪ সালের পর এই ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় আমারা এখনো সকল ফি কম নেই। সকল খাতে সেবার মানও বৃদ্ধি হবে বলে জানান তিনি।

দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032169818878174