ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে মেধার বিস্ফোরণ! - দৈনিকশিক্ষা

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে মেধার বিস্ফোরণ!

নিজস্ব প্রতিবেদক |

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে এবার যেন মেধার বিস্ফোরণ ঘটেছে। এই বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টারে ‘এ’ গ্রুপের ৭৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৪জন জিপিএ ফোর আউট অব ফোর পেয়েছে। আর ৪০জনের রেজাল্ট রয়েছে জিপিএ ৩.৭৫ থেকে জিপিএ ৩.৯৪। জিপিএ ৩.৫০ এর নিচে রেজাল্ট হয়েছে মাত্র তিনজনের।

জিপিএ ফোর আউট অব ফোর পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- আবদুল কাদের, মো. মুহিবুল্লাহ, মারজান আহমেদ চৌধুরী, জিএম রাসেদ বিন আবেদ, হাফেজ ইমন হুসাইন, আজিজুল ইসলাম, মো. বেলাল হুসেইন, মোহাম্মদ রবিউল হাসান, মো. শরফুদ্দিন, আবদুল্লাহ, মো. সোয়ায়েব ইবনে আলম, মো. আবদুর রহমান, আফসানা ও ফারজানা আকতার।

এর আগে এই বিভাগে ২০০৭ সালের পরীক্ষায় দু’টি গ্রুপে ১৩৪ জনের মধ্যে ১১৩ জনই প্রথম শ্রেণী, ২০০৮ সালের মাস্টার্স পরীক্ষায় দু’টি শাখায় ৮৫ জনের মধ্যে ৭৬ জন শিক্ষার্থী প্রথম শ্রেণী পাইলে (শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ) সমালোচনার ঝড় উঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ২০০৫ সালে ৫২ জন শিক্ষার্থী প্রথম শ্রেণী পাওয়ায় আলোচনার ঝড় ওঠেছিল। গঠিত হয়েছিল তদন্ত কমিটি।

এদিকে, রেকর্ড সংখ্যক ফোর আউট অব ফোর পাওয়া এই সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়ন না করেই নম্বর দেয়ার অভিযোগ ওঠে বিভাগের দুইজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে পাঠানো হয়। এই কারণে ফল প্রকাশে পাঁচ মাসেরও অধিক সময় নেয় কর্তৃপক্ষ। উত্তরপত্র মূল্যায়ন না করে নম্বর দেয়ার বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এ ফলকে মেধার বিস্ফোরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিভাগেরই অনেক ছাত্র-শিক্ষক। ছাত্ররা অভিযোগ করছেন বিভাগের মিডটার্ম, ক্লাস টেস্ট, অ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন এমনকি ক্লাস অ্যাটেনডেন্সেও শিক্ষকরা এভারেজ মার্ক দিয়ে থাকেন।

বিভাগের কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষক বলেন, এ ধরনের ফলাফল উত্তরপত্র যথাযথ মূল্যায়ন হয়েছে কিনা সে প্রশ্নের উদ্রেগ করে। মানুষের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে। বিভাগে ফলাফল নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

এত সংখ্যক শিক্ষার্থীর ফোর আউট অব ফোর পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ওই ১৪ জনেরই একজন  বলেন, আসলে এত ফোর পাওয়া উচিত না। তিনি জানান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে যে সব বিষয় পড়ানো হয়, মাদরাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের দাখিল আলিমের একজন স্টুডেন্ট সেসব পড়ে আসে। একারণে, এখানে রেজাল্ট করা কিছুটা সোজা।

এ বিষয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়, স্বাভাবিক ফলাফল।

পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি - dainik shiksha কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0068509578704834