ঈদের ছুটিতে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে টহল ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি আবাসিক শিক্ষক-কর্মকর্তা ছাড়া কাউকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট ) সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গেটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সেখানে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীরা জনসাধারণ ছাড়াও রিকশা, অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন প্রবেশে বাধা দিচ্ছেন। এ ছাড়া তল্লাশিও চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের তিনটি আবাসিক হল সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ঈদের ছুটিতে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে এ ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারে বেরোবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাদিউজ্জামান হাদি ও শহীদ শেখ মুখতার এলাহী হলের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ বসুনিয়ার ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ওইদিন দিবাগত রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মুহিব্বুল ইসলাম মুন বলেন, ক্যাম্পাসে দিনে ও রাতে অতিরিক্ত পুলশ টহল বাড়ানোসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) ড. আবু কালাম মো. ফরিদ উল ইসলাম বলেন, পুলিশের সহায়তায় ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে জনসাধারণের প্রবেশও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।