উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, না অন্যকিছু? - Dainikshiksha

উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, না অন্যকিছু?

ড. শেখ আবদুস সালাম |

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের এক অনন্য প্রতিষ্ঠান। ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা ভূখণ্ডের এই জনপদে কেবল উচ্চশিক্ষার আলো ছড়িয়েছে তা নয়; বিভিন্ন সময়ে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, গণতান্ত্রিক তথা রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলা এবং এসব আন্দোলনের সফল পরিণতি দেয়ার ক্ষেত্রেও এককথায় অপরিমেয় অবদান রেখেছে। তাই অনেকে বলে থাকেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ এক অভিন্ন ও অবিচ্ছেদ্য সত্তা।

সম্প্রতি উপাচার্য প্যানেল গঠন নিয়ে যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান চেয়ারটিকে নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন তৈরি করছে। বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতের ভিন্ন ভিন্ন রায় আমাদের আরও প্রশ্নের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। একটি দৈনিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯.০৭.২০১৭ তারিখের উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সিনেট সভা নিয়ে ‘সুযোগ থাকলেও সিনেট পূর্ণাঙ্গ করা হয়নি’ এমন শিরোনাম করে খবর ছেপে তাতে লিখেছে- সিনেট পূর্ণাঙ্গ না করে অর্ধেকের কম সদস্য নিয়ে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করায় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই খবরটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের একজন শিক্ষকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে- ‘পূর্ণাঙ্গ সিনেট গঠন না করে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন আইনগতভাবে ত্রুটিপূর্ণ …। এটা শুধু বর্তমান উপাচার্যের সময়ে পরপর দু’বার ঘটেছে।’ এই শিক্ষক পূর্ণাঙ্গ সিনেট গঠন না করে উপাচার্য প্যানেল তৈরি করাকে ‘আইনগতভাবে ত্রুটিপূর্ণ’ বলেছেন এবং তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে এটা শুধু বর্তমান উপাচার্যের সময়ে ঘটেছে এবং তা একবার নয়, দু’বার।

এ খবরটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক, যিনি এখনও সিন্ডিকেটের সদস্য, তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘সিনেটে ২৫ জনের বাধ্যবাধকতা সিনেট পূর্ণ হওয়ার পর প্রযোজ্য। কারণ অনির্বাচিত সদস্যদের দ্বারা যে কোনো সভার কোরাম পূর্ণ করা সম্ভব’। উল্লেখ্য পূর্ণাঙ্গ সিনেট গঠন হয় তখন, যখন সেখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরি থেকে ১০৫ জনের সদস্যপদ কার্যকর থাকে। এ পর্যন্ত কখনও ১০৫ জন সদস্য থেকে পূর্ণ সিনেট গঠিত হয়েছে এমন কোনো উদাহরণ রয়েছে বলে আমার জানা নেই; আর তা থেকে থাকলেও একবারের বেশি নয় (১৯৭৪ সালে)। সিনেট সভা বসার জন্য ন্যূনতম ২৫ জন সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন হয়, যাকে আমরা কোরাম বলি। কাজেই কোরামের বাধ্যবাধকতা সিনেট পূর্ণ হওয়া অর্থাৎ ১০৫ জন

সদস্য বহাল থাকার পর প্রযোজ্য হবে, সিন্ডিকেট সদস্যের এমন বক্তব্য বোধহয় যথার্থ নয়।

পত্রিকাটি একই দিন সম্পাদকীয় ছেপেছে, ‘খণ্ডিত সিনেটে উপাচার্য প্যানেল’। লিখেছে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদাধিকারীরা ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের মতো সিনেট নির্বাচন করার জন্যও নানা ‘ছলচাতুরির’ আশ্রয় নিয়েছে। এই পত্রিকাটি ১ আগস্ট ৩ কলাম শিরোনাম দিয়ে আবারও একটি খবর ছেপেছে যে- ‘উপাচার্য হতে আবারও আইন লঙ্ঘন’। এই শিরোনামের অধীনে খবরের ইন্ট্রো হচ্ছে- ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট গঠন প্রক্রিয়া, এতে কারা থাকবেন, কতজন সদস্য হবেন, তা আইনে সুস্পষ্ট করা আছে। এগুলো মেনে সিনেট গঠন করাটা আইনে ‘বাধ্যতামূলক’ করা হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের ক্ষেত্রে আইনের সেই বাধ্যবাধকতা না মেনেই সিনেট অধিবেশনে তিনজনের প্যানেল নির্বাচন করা হয়েছে। এ ছাড়া সিনেট অধিবেশনের কোরাম পূরণ নিয়েও আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে’। পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত এসব খবর আমাদের মতো সাধারণ পাঠকের মনে এক ধরনের বিভ্রান্তির জন্ম দিচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে কোনটা ঠিক, কোনটা ঠিক নয়? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সত্যিই কি ১৯৭৩-এর অর্ডার ভঙ্গ করে যাচ্ছেন?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট গঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ জন নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধি, রেজিস্ট্রার্ড গ্রাজুয়েটদের মধ্য থেকে নির্বাচিত ২৫ জন প্রতিনিধি, ৫ জন পার্লামেন্ট সদস্য (স্পিকার মনোনয়ন দেন), সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সরকার মনোনীত ৫ জন সরকারি কর্মকর্তা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অধিভুক্ত কলেজের ১৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধি, গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ জন প্রতিনিধি, রাষ্ট্রপতি মনোনীত ৫ জন শিক্ষাবিদ, ডাকসুতে নির্বাচিত ৫ জন ছাত্র প্রতিনিধি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান (১ জন) সমন্বয়ে। এ ছাড়াও উপাচার্য, প্রো-উপাচার্য (গণ), কোষাধ্যক্ষ পদাধিকার বলে সিনেটের সদস্য থাকেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে বর্তমানে ভিসি/ প্রো-ভিসিদ্বয়/ ট্রেজারার মিলিয়ে ৪ জন, শিক্ষক প্রতিনিধি ৩৫ জন, সংসদ সদস্য ৫ জন, সরকারি কর্মকর্তা ৫ জন এবং রাষ্ট্রপতি মনোনীত শিক্ষাবিদ ৫ জন, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ১ জন, সর্বমোট ৫৫ জন সদস্যের অস্তিত্ব কার্যকর রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডার বা স্ট্যাট্যুটে কোথাও বলা নেই যে, সিনেট সবসময় পূর্ণ থাকতে হবে এবং সিনেটে ২৫ জন অর্থাৎ কোরামের বাধ্যবাধকতা সিনেট পূর্ণ হওয়ার পর প্রযোজ্য হবে (যেমনটি বলেছেন একজন সিন্ডিকেট সদস্য)।

সিনেট সভা ডাকার ব্যাপারে বার্ষিক সিনেট সভা অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১৯৭৩ সালের ইউনিভার্সিটি অর্ডারের ২১(১) ধারায় বলা হয়েছে, উপাচার্য একটি দিন নির্ধারণ করে বছরে একটি সভা ডাকবেন যাকে সিনেটের বার্ষিক সভা বলা হবে। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট প্রণয়ন ও পাসের জন্য এমন একটি বার্ষিক সভা অনুষ্ঠান করতেই হয়। ২১(২) ধারায় বলা হয়েছে The Vice-Chancellor may whenever he thinks fit, and shall, upon a requisition in writing signed by not less than thirty members of Senate, convene a special meeting of the Senate.’ এখান থেকে বোঝা যায়, উপাচার্য যখন সঠিক মনে করবেন তখন তিনি সিনেটের বিশেষ মিটিং ডাকতে পারবেন; নইলে সিনেট সদস্যদের মধ্য থেকে অন্তত ৩০ জন সদস্য যদি লিখিতভাবে সভা ডাকার অনুরোধ জানিয়ে রিকুইজিশন দেন, তখন তিনি বিশেষ সভা ডাকতে বাধ্য থাকবেন। একটি হচ্ছে Vice-Chancellor may whenever he thinks fit, অন্যটি হচ্ছে ৩০ জন সদস্য লিখিতভাবে রিকুইজিশন দিলে The Vice-Chancellor shall convene a special meeting.

কাজেই পত্রিকাটি যে শিরোনামে লিখল- ‘উপাচার্য হতে আবারও আইনের লঙ্ঘন’ অথবা ‘সিনেটের বিশেষ অধিবেশন ডাকার জন্য ৩০ জন সদস্যের লিখিত সুপারিশের প্রয়োজন ছিল’- এসব কথা আদৌ বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডারের সঙ্গে যায় কি? পত্রিকাটি বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডারের ২০(১) ধারা উল্লেখ করে খবরে লিখছে ‘সিনেটে ১০৫ জন সদস্য থাকার বাধ্যবাধকতা থাকলেও এখন আছে মাত্র ৫৫ জন সদস্য’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডার অনুযায়ী দেখা যায়, সিনেটে বর্তমানে সর্বোচ্চ ১০৫ জন সদস্য থাকার সুযোগ রয়েছে। ‘বাধ্যবাধকতা’র অর্থ হচ্ছে সিনেট গঠিত ও কার্যকর হতে হলে ১০৫ জন সদস্য থাকতেই হবে। হ্যাঁ, ১০৫ জন সদস্য থাকলে সেটি পূর্ণ সিনেট হবে। কিন্তু সিনেট বর্তমান, কার্যকর এবং চলমান থাকার জন্য সবসময় ১০৫ জন সদস্য নিয়ে পূর্ণ সিনেট নাও থাকতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট একটি চলমান বডি। কোরাম হতে যতজন সদস্য প্রয়োজন (২৫ জন), সেই ক’জন সদস্যের সদস্যতা কার্যকর থাকলে এবং ওই ২৫ জন সদস্য সিনেট সভায় উপস্থিত হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে সেটিকে আইনের চোখে continuing, qualifying and active সিনেটের সিদ্ধান্ত বলে গণ্য করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষক, যিনি পূর্ণাঙ্গ সিনেট গঠন না করে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন কার্যক্রমকে ‘আইনগতভাবে ত্রুটিপূর্ণ’ বলেছেন, একজন সিন্ডিকেট সদস্য সিনেট পূর্ণ হলেই কেবল ২৫ জনের উপস্থিতির বাধ্যবাধকতার (বা কোরাম) কথা বলেছেন, পত্রিকাটি সিনেটের বিশেষ অধিবেশন ডাকার জন্য ৩০ জন সদস্যের লিখিত সুপারিশের প্রয়োজন ছিল বলে উল্লেখ করেছে, এই বিষয়গুলো কিন্তু ঢাকা ইউনিভার্সিটি অর্ডার : ১৯৭৩-এ বর্ণিত ধারা, উপধারা, স্ট্যাট্যুটের কোথাও বিধৃত নেই বা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন-কানুন-নিয়মের সঙ্গে এসব কথা মেলে না।

তবে হ্যাঁ, যেখানে সিনেটের পূর্ণ সদস্য সংখ্যা ১০৫ থাকার কথা, কখনও সেই পূর্ণসংখ্যা সিনেটে থাকছে না কেন? ১৯৭৩ সালে এই আদেশ প্রণীত হওয়ার পর থেকে দেখা যায় একমাত্র পূর্ণাঙ্গ সিনেট ছিল কেবল ১৯৭৪ সালে। তখন মোট সিনেট মেম্বার ছিলেন ১০২ জন। কিন্তু প্রথম সিনেট সভায় (১০.১২.১৯৭৪) উপস্থিত ছিলেন ৮৫ জন সদস্য। ২৯.০১.১৯৭৬ তারিখের সিনেট সভায়ও উপস্থিত ছিলেন ৬৭ জন। এভাবে আমি অন্তত ১১টি সিনেট সভার কথা জানি, যার কোনোটিতেই শতভাগ সদস্য উপস্থিত থাকেননি। আমার জানা মতে, প্রথম সিনেট ছাড়া কোনো সময়ে পূর্ণাঙ্গ সিনেট গঠিত হয়নি। ফলে পূর্ণ সদস্য সংখ্যা নিয়ে (১ম সিনেট ছাড়া) কখনও সিনেট সভা বসেওনি। সেদিক থেকে সিনেট সবসময়ই খণ্ডিতই থেকে গেছে; কিন্তু সিনেট কার্যক্রম থেমে থাকেনি।

পত্রিকাটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৯ জুলাই সিনেট অধিবেশনের মাধ্যমে সিনেটে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের ‘আইনকে পাশ কাটাতে’ কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে এবং আইনের অপপ্রয়োগ করে বর্তমান উপাচার্যকে তৃতীয় মেয়াদে নিয়োগের সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। খবরে আরও বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডারের ২০(১) ধারায় সিনেটে ১০৫ জন সদস্য থাকার ‘বাধ্যবাধকতা’ থাকলেও এখন আছে মাত্র ৫৫ জন সদস্য। পত্রিকাটি লিখেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডারের ২১(২) ধারা অনুযায়ী সিনেটের বিশেষ অধিবেশন ডাকার জন্য ৩০ জন সদস্যের

লিখিত সুপারিশের প্রয়োজন ছিল। বর্তমান সিনেট অধিবেশন ডাকার ক্ষেত্রে এমনটি ছিল না।

পত্রিকাটির খবরগুলো আমার মধ্যে এক ধরনের প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে যে, তাহলে বর্তমান উপাচার্য কি অবৈধভাবে সিনেট ডেকে পুনরায় ভিসি নির্বাচিত হওয়ার চেষ্টা করছেন? অথবা তা না হয়ে থাকলে পত্রিকাটি কি দায়িত্বশীল এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা থেকে দূরে সরে গিয়ে এ ব্যাপারে এজেন্ডা সেট করে মটিভেটেড জার্নালিজমের দিকে ঝুঁকে পড়ছে?

ড. শেখ আবদুস সালাম : অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

 

নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.013228893280029