উন্নত রাষ্ট্রগঠনে ‘জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০’-এর ভূমিকা - দৈনিকশিক্ষা

উন্নত রাষ্ট্রগঠনে ‘জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০’-এর ভূমিকা

মো. আলমগীর হোসেন খান : |

লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য ছাড়া কোন ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও জাতির উন্নতি সম্ভব নয়। আর এ লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে চলার মানুষ বাংলার প্রধানমন্ত্রী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তনয়া শেখ হাসিনা। তিনি এ দেশকে উন্নত জাতিতে পরিণত করার টার্গেট নিয়েছেন ২০৪১ সালের মধ্যে। মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার টার্গেট নিয়েছেন ২০২১ সালের মধ্যে। ১৯৯১ সালে লিখিত ‘বাংলাদেশের দারিদ্র বিমোচন ও কিছু চিন্তা ভাবনা’  বইতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দরিদ্র দেশটির বর্তমান অবস্থা, দারিদ্রতার পর্যায়, দারিদ্র বিমোচনের কি কি পন্থা আছে তা উল্লে¬খ করেছেন।


১৯৯১ সালের লেখা বইয়ে দরিদ্র যে মানুষগুলো একশত হাত মাটি খুড়লেও তৎকালীন সময়ে ১টি টাকা পেতেন না, সামান্য প্যারাসিটামল ট্যাবলেট কেনা যাদের সামর্থ্য ছিলনা, নিজের সন্তানের কাছে হাত পেতেও ঔষধের টাকা সংগ্রহ করতে পারতেন না, সন্তান হারা মা-বাবার ভিক্ষা ছাড়া খাবার জুটতোনা, সেই মানুষগুলোকে ভাতার আওতায় আনার কথা লিখেছেন। যেমন বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা,  প্রসূতিকালীনভাতা, অসচ্ছ্বল মুক্তিযোদ্ধাভাতা প্রভৃতি। ১৯৯৬ সালে তিনি যখন ক্ষমতায় এসে এ সমস্ত ভাতার প্রবর্তন করেছেন। গরীব, অসহায়, বিধবা, পঙ্গু, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তানদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। প্রথমে মাসে ১০০ (একশত) টাকা দিয়ে শুরু করেছেন। পরবর্তীতে বৃদ্ধি হতে-হতে আজ মাসে ৪০০ ( চারশত ) টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে।

শিক্ষা ক্ষেত্রে তার গবেষনার  ফসল জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০। স্বাধীন বাংলায় সর্বপ্রথম জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় শিক্ষানীতি প্রবর্তনের জন্য ড. কুদরত-ই-খুদাকে প্রধান করে শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট প্রদান করেন কিন্তু বাঙালি জাতির ভাগ্যে কুলোয়নি। জাতির জনকের শাহাদাৎ বরণের মধ্য দিয়ে জাতীয় শিক্ষানীতি ডাস্টবিনে ফেলে   দেয়। পরবর্তীতে যিনি বা যাহারা ক্ষমতায় এসেছেন শিক্ষানীতি নিয়ে ভাবনার তাদের সময় ছিলনা। সুদীর্ঘ ২১ বছর পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তনয়া দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথম ক্ষমতায় এসেই জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নের জন্য কমিশন গঠন করেন। কমিশন রিপোর্ট প্রদান করেন কিন্তু ৫বছরের মধ্যে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে পারেননি। সরকার বদলালে শিক্ষানীতি আলোর মুখ দেখেনি। আবার ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেই জাতীয় শিক্ষানীতি প্রনয়নের জন্য কমিশন গঠন করেন। পূর্বের ভুল শুধরে তড়িৎ গতিতে কমিশন রিপোর্ট প্রদান করেন এবং জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রনয়ন করেন। যা এখন বাস্তবায়নের পথে।

জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ বাস্তবায়ন করতে হলে অবশ্যই শিক্ষার জাতীয়করণ একান্ত অপরিহার্য। শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ, প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, শিক্ষা উপকরণ, মানসম্মত শিক্ষা, শিক্ষকদেও পেশাদারিত্ব, শিক্ষকদের মর্যাদা এ সমস্ত বিষয়ে শেখ হাসিনার দর্শন কাজে লাগাতে হবে। তবেই দেশ এগিয়ে যাবে।

লেখক:  অধ্যক্ষ, মিরুখালী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর

ফল জালিয়াতি: পদে রেখেই সচিবের বিরুদ্ধে তদন্ত - dainik shiksha ফল জালিয়াতি: পদে রেখেই সচিবের বিরুদ্ধে তদন্ত শিক্ষক-কর্মচারী বদলি নীতিমালার কর্মশালা কাল - dainik shiksha শিক্ষক-কর্মচারী বদলি নীতিমালার কর্মশালা কাল দুবাইয়ে বন্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা - dainik shiksha দুবাইয়ে বন্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি ৯৬ হাজার ৭৩৬ শিক্ষক নিয়োগ, আবেদন করবেন যেভাবে - dainik shiksha ৯৬ হাজার ৭৩৬ শিক্ষক নিয়োগ, আবেদন করবেন যেভাবে ফিলিস্তিনকে সমর্থনের ‘অভিযোগে’ সেরা ছাত্রীর বক্তৃতা বাতিল - dainik shiksha ফিলিস্তিনকে সমর্থনের ‘অভিযোগে’ সেরা ছাত্রীর বক্তৃতা বাতিল মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে - dainik shiksha মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0081460475921631