চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আজমের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা যায়, শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল সম্প্রতি উপজেলার দক্ষিণ মাদার্শা এস এস উচ্চ বিদ্যালয়ে (শ্যমা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়) সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে মো: সেলিম নামে এক প্রার্থীর কাছে চাকরি পাইয়ে দেয়ার জন্য ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবী করেন। পাশাপাশি একই প্রার্থীর কাছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটির প্রধান চাকরি পাইয়ে দেয়া জন্য ২ লাখ টাকা দাবী করেন। ঘুষ চাওয়ার বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষক পদে একজন নিয়োগপ্রত্যাশীর মোবাইলে কথোপকথনের একটি রেকর্ড দৈনিক শিক্ষাডটকমের হাতে রয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী মো: সেলিম মিয়া দাবী করেন, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় ১ম হওয়া প্রার্থী ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ ও অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষায় কখনো ভাল করেনি। মৌখিক পরীক্ষার সময় আমার প্রাপ্ত নম্বর দেখতে পেয়ে আমার খাতা অবমূল্যায়নের বিষয়টি আমি জানতে পারি এবং তাৎক্ষণিকভাবে ঘুষ দাবীর বিষয়টি উল্লেখ করে দরখাস্ত দিলে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল হয়। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ রেজুলেশনে “উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া না যাওয়ায় নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হল” বলে উল্লেখ করে।
জানতে চাইলে শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আজম দৈনিক শিক্ষাডটকমের কাছে ঘুষের অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন। ২০ শে সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তিনি বলেন, এ ধরণের কোন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তিনি যুক্ত নন এবং তিনি এই উপজেলায় বদলি হয়ে এসেছেন তাও খুব বেশি দিন হয়নি।
শিক্ষা কর্মকর্তা আরো বলেন, আপনারা কোন অভিযোগ পেলে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তদন্ত করে দেখুন। আমি এ ধরণের কোন বিষয়ের সাথে জড়িত নই এবং জানিও না।