বেনাপোলের শার্শা উপজেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় উপবৃত্তির (আপিল) টাকা প্রদানে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে। ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০ টাকা ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৪০ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেছেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও ব্যাংক অফিসার। শিক্ষার্থীরা টাকা কম পেয়ে শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও অগ্রণী ব্যাংক বেনাপোল শাখার প্রতি ব্যাপক অসন্তষ্ট।
জানা যায়, শার্শা উপজেলায় ৬৫ টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপবৃত্তির (আপিল) টাকা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩১টি মাদ্রাসা আছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ৫৫০ জন ও নবম শ্রেণির ৪৫ জন শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তির টাকা প্রদান করা হয়েছে।
৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ৬০০ টাকার স্থলে দেওয়া হয়েছে ৫৮০ টাকা ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ১০৮০ টাকার স্থলে দেওয়া হয়েছে ১০৪০ টাকা। এ উপবৃত্তির টাকা প্রদানের সময় সময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আশিকুজ্জামান, অফিস পিয়ন বাচ্চু মিয়া ও অগ্রণী ব্যাংক বেনাপোল শাখার সিনিয়র অফিসার মহিউদ্দিন।
শার্শার টি আর এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী কাজল রেখা বলেন, বৃত্তবানদের ছেলে মেয়ের এ টাকা না হলেও চলে কিন্তু আমাদের মত যারা গরীব শিক্ষার্থী তারা উপবৃত্তির টাকা কম পেলে খুব কষ্ট লাগে। কারণ এ টাকায় আমরা বই, খাতা, কলম কিনি। আমাদের টাকা কম দেওয়া উচিত হয়নি।
মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি ও কায়বা বাইকোলা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আবুল হাসান বলেন, এবছর সকল উপবৃত্তি প্রাপ্ত (আপিল) শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আশিকুর রহমান ও অগ্রনী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মহিউদ্দিন ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২০ টাকা ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৪০ টাকা হারে টাকা গ্রহণ করেছেন।
শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি বলেন, উপবৃত্তির টাকা দেওয়া হয়েছে এটা আমার জানা নেই। টাকা কম দিয়েছে এটাও আমার জানা নেই। তবে খবর নিয়ে রোববার সকাল ১০টার দিকে জানাব।
শার্শা উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আশিকুজ্জামান বলেন, উপবৃত্তির টাকা দেওয়া হয়েছে সঠিক কিন্তু টাকা কম দেওয়া হয়েছে এটা পুরোপুরি সঠিক নয়।
অগ্রণী ব্যাংক বেনাপোল শাখার সিনিয়র অফিসার মহিউদ্দিন জানান, টাকা তো আসলে ওইভাবে নেওয়া হয়নি। গাড়ি ভাড়া ও ব্যাংকে হিসাব খোলার জন্য কিছু টাকা রাখা হয়েছে।