সরকার শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় উৎসাহিত করতে মোবাইল এসএমএস-এর মাধ্যমে ঘরে ঘরে উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে দেয়ার কার্যক্রম শুরু করলেও এ পদক্ষেপ হিতে বিপরীত হয়েছে বলে অভিভাবকদের দাবি।
শিক্ষকদের অভিযোগ, শিওর ক্যাশের মাধ্যমে টাকা বিতরণ করায় ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী গত অর্থ বছরের শেষ দুই কিস্তির টাকা এখনও পায়নি। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে হতাশা।
উপকূলের মনখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল হক অভিযোগ করে জানান, তার স্কুলে প্রায় আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থীর মধ্যে দেড় শতাধিক ছাত্রছাত্রী উপবৃত্তির টাকা পায়নি। একই অভিযোগ উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদের।
অভিযোগ উঠেছে শিওর ক্যাশ এজেন্টগুলো যথাযথ দায়িত্ব পালনে অবহেলা বা অনিয়মের আশ্রয় নেয়ার কারণে উপবৃত্তি টাকা প্রদানে ব্যাপক ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে কোটবাজার রূপালী ব্যাংক ম্যানেজার সিতারাম বৈরাগী জানান, কোটবাজারস্থ শিওর ক্যাশ ডিস্ট্রিবিউটার আলা উদ্দিনকে তারা ক্যাশ পেমেন্ট করে থাকেন।
এ প্রসঙ্গে উখিয়াস্থ শিওর ক্যাশ এজেন্ট মোঃ আমিনের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, যেসব ছাত্রছাত্রীর বিপরীতে এসএমএস নিশ্চিত হওয়া গেছে তাদেরকে টাকা বিতরণ করা হয়েছে।