উখিয়ায় ডাচ-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং এর নিজস্ব ডিলার না থাকায় চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদেও বৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ডাচ বাংলা মোবাইল একাউন্টে দেওয়া হয়।
মোবাইল একাউন্ট থেকে টাকা উঠাতে সমস্যার সম্মুখীন পোহাতে উখিয়ার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের। উখিয়ার সদর, কোটবাজার, মরিচ্ছ্যা, সোনারপাড়া, থাইংখালী, পালংখালী, কুতুপালং, ইনানীতে ডাচ-বাংলার মোবাইল এজেন্ট থাকলে ও উপজেলা ভিত্তিক তাদের কোন নিজস্ব ডিলার নেই।
জানা যায়, উখিয়ার কোটবাজারে ডাচ-বাংলার মোবাইল ব্য্যংকিং এর কার্যক্রম চালানোর জন্য পূর্বে অফিস থাকলে ও তা এখন নেই। ডাচ-বাংলার কক্সবাজারের ডিলার মাধ্যমে তাদের বর্তমান কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
পালং আদর্শ উচ্ছ বিদ্যলয়ের শিক্ষক খায়রুল বাশার জানান, তাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে উপবৃত্তির টাকা নিয়ে। প্রয়োজনের সময় শিক্ষার্থীরা টাকা উঠাতে না পারায় শিক্ষা উপকরণ কিনতে তাদের পরিবারকে ভোগতে হছে।
উখিয়ার রুমঁখা পালং ইসলামীয়া আলীম মাদ্রাসার শিক্ষক আবুল মঞ্জুর জানান, উখিয়ার কোটবাজার থেকে তাদের শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত উপবৃত্তির টাকা উঠাতে পারতেছে না। কক্সবাজারের এজেন্টদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের টাকা উঠানোর জন্য ব্যবস্থা করতে হচ্ছে।
উখিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্রী নাজমা আক্তার বলেন, উপবৃত্তি টাকা তোলার জন্য এজেন্ট দের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাদের হতাশ হয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে।
উখিয়ার ডাচ-বাংলার মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মোবাইল ব্যাংকিং এর কক্সবাজার অফিস থেকে নিয়মিত তাদের সাথে লেনদেন না করায় তাদের পক্ষে বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন করা সম্ভব হচ্ছে না। মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় গ্রহণকৃত টাকা উখিয়ায় কোন ডিলার না থাকায় সুদুর কক্সবাজার ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করা নিয়মিত কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তাছাড়া কক্সবাজার অফিস কিংবা ব্যাংক থেকেও অনেক সময় নগদ টাকা পেতেও নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই মনোনীত এজেন্টরা লেনদেন করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পর্কে অধিকাংশ শিক্ষার্থী অজ্ঞতার কারণে ৪ সংখ্যার পিন নাম্বারটি সংরক্ষণ করেনি কিংবা জানে না এর ফলে হতাশায় ভুগছে স্কুল কলেজের এসব শিক্ষার্থীরা।
সরকারের ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে উপবৃত্তির টাকা নিজস্ব মোবাইল একাউন্টে দেওয়া হলেও উখিয়াববাসী ডিজিটাল বাংলাদেশের এই সুবিধা পেতে দুর্ভোগ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অভিভাবকরা। উপবৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীদের হাতে সহজ পদ্ধতিতে পাওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ব্যাংক ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।