এইচএসসি পরীক্ষার খাতা দেখানো হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দিয়ে। বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। সোমবার (২২মে) রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মেয়েদের একটি হল থেকে এ রকম ১০০টি খাতা উদ্ধার করেছেন।
খাতাগুলো ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের দ্বিতীয় পত্রের। এ বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২ মে। এর বিষয় কোড ছিল ২৬৮। পরীক্ষক কোড ৯৫০৪। তিনি রাজশাহী শহরের একটি সরকারি কলেজের শিক্ষক। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক ছাত্রকে খাতাগুলো দেখতে দিয়েছিলেন। ওই ছাত্র খাতাগুলো তার এক বান্ধবীকে দেখতে দেন।
বান্ধবী মন্নুজান হলের ডরমিটরির একজন আবাসিক শিক্ষার্থী। সেখান থেকেই খাতাগুলো উদ্ধার করা হয়। কোন ছাত্রীর কাছ থেকে খাতাগুলো পাওয়া গেছে, তা তাঁরা জানাতে পারেননি।
বিকেল চারটার দিকে শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তরুণ কুমার সরকার ও উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জাহিদুর রহিম নগরের মতিহার থানার পুলিশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্নুজান হলের ফটকে অবস্থান নেন। কিন্তু পুলিশ প্রক্টর ও হলের প্রাধ্যক্ষ ছাড়া ভেতরে যেতে রাজি হয়নি। খবর দেওয়া হলে প্রায় এক ঘণ্টা পর প্রক্টর মুজিবুল হক আজাদ ও প্রাধ্যক্ষ জিন্নাত ফেরদৌসী হলে আসেন। তাঁরা ভেতরে গিয়ে হলের ১ নম্বর ডরমিটরির একটি খাটের নিচ থেকে একটি ব্যাগে ভরা অবস্থায় ১০০ খাতা উদ্ধার করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তাঁরা হল থেকে বেরিয়ে আসেন। খাতাগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার দেখানো হয়।
সন্ধ্যায় শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তরুণ কুমার সরকার বলেন, পরীক্ষক আবুল কালামকে তাঁর কার্যালয়ে হাজির করা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সেটা পরে জানানো হবে। তবে আবুল কালাম পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে দাবি করেন, তিনি খাতাগুলো শাহ মখদুম কলেজের শিক্ষক মাসুদকে দেখতে দিয়েছিলেন। মাসুদই পরে খাতাগুলো অন্যত্র পাঠান।
হলের প্রাধ্যক্ষ ড. জিন্নাত ফেরদৌসী বলেন, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের ডেপুটি কন্ট্রোলারের কাছে তথ্য ছিল এই হলে বোর্ড পরীক্ষার কিছু খাতা রয়েছে। পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চান।