এইচএসসি পরীক্ষায়ও পরিবর্তন আসছে: শিক্ষামন্ত্রী - দৈনিকশিক্ষা

এইচএসসি পরীক্ষায়ও পরিবর্তন আসছে: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক |

প্রশ্নপত্র ঠেকাতে এইচএসসি পরীক্ষায়ও বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। প্রশ্ন ফাঁস রোধে বিভিন্ন প্রস্তাব পাওয়ার কথা জানিয়ে নাহিদ বলেন, প্রতি দিনই নতুন কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা তারা করছেন। তারপরও কোনো না কোনো জায়গা থেকে প্রশ্ন বেরিয়ে যাচ্ছে। “তবে আমরা চেষ্টা করছি। (আগামী এইচএসসি পরীক্ষায়) অতি অল্প সময়ে বড় পরিবর্তনে যাব না, সেখানেও কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছি যেগুলো আগে নিইনি। এতে আশা করছি বেশি কার্যকর হবে। এর পরের পরীক্ষায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনব।”

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনে (এফডিসি) সুবিধাবঞ্চিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নবম জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ‘বিতর্ক বিকাশ’-এর গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।

চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সারাদেশে ৫২টি মামলা হয়েছে এবং তাতে ১৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করার কথাও জানান নুরুল ইসলাম নাহিদ। এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভার পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছিলেন, এ পর্যন্ত ৫২টি মামলা হয়েছে, ১৫২ জনকে আটক করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এ পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলেও এ প্রক্রিয়া চলতেই থাকবে।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষা পদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হবে।’ এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, ‘আমি শিক্ষক, অভিভাবকসহ সবার সহযোগিতা চাই। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করেন। যারা বাধার সৃষ্টি করে তাদের চিহ্নিত করে আইনের হাতে সোপর্দ করেন।’
শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্নপত্র ফাঁস সমস্যার সমাধানের বিষয়ে বলেন, ‘সেটা আমাদের হাতে না, কাজটা করতে হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। তারাও আমাদের সঙ্গে আছে। সব মিলিয়ে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে বিভিন্ন প্রস্তাব পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিদিনই নতুন কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারপরও কোনও না কোনও জায়গা থেকে প্রশ্ন বেরিয়ে যাচ্ছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি। (আগামী এইচএসসি পরীক্ষায়) বড় পরিবর্তনে যাবো না, সেখানেও কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছি যেগুলো আগে নিইনি। এতে আশা করছি, সেটি বেশি কার্যকর হবে। এর পরের পরীক্ষায় আরও বড় ধরনের পরিবর্তন আনবো।’

নাহিদ বলেন, “ছেলেমেয়েদের পরীক্ষার হলে ৩০ মিনিট আগে ঢুকিয়ে ফেলছি। প্রশ্নের খাম খোলার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে ৩০ মিনিট আগে। তার পরেও কেউ না কেউ একটা স্টেপ নিয়ে প্রচার করে দিচ্ছে।

“মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যখন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন তখন তারা বলেছিলেন ২০ মিনিট আগে প্রশ্ন ফাঁস হয়। আমরা ৩০ মিনিট আগে প্রশ্নের খাম খোলার সুযোগ দিয়েছি, তখন ছেলেমেয়েরা হলের ভেতরে, সেই ২০ মিনিট আগে (প্রশ্ন ফাঁস) হয়, হয়ত তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না কিন্তু এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার নয়।”

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন অনুষ্ঠানে বলেন, সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরও কোনো রকমের ক্রটি-বিচ্যুতি ছাড়াই প্রতিনিয়ত কিছু মানুষ বিভিন্ন মিডিয়ার অমানবিক নিষ্ঠুরভাবে আমাদের আক্রমণ করে চলেছেন।

“বিভিন্ন মিডিয়ার আমাদের অত্যাচার করছেন; যারা সমালোচনা করছেন, দোষারোপ করা ছাড়া একজনের কাছে একটি পরামর্শও পাইনি।”

সোহরাব বলেন, বর্তমান পদ্ধতিতে প্রশ্ন ফাঁস হবে না- এমন শতভাগ নিশ্চিয়তা কেউ দিতে পারবে না। এখন এমন একটি পথে যেতে হবে, যেখানে প্রশ্ন ফাঁস করা সম্ভব নয়। প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে কিছু সংস্কারের প্রয়োজন আছে।

পরীক্ষা নিয়ে ‘প্রত্যেকে উদ্বিগ্ন’ মন্তব্য করে শিক্ষা সচিব বলেন, “অনেক প্রস্তাব পাওয়া গেছে, পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। মন্ত্রী, সচিব প্রশ্ন ফাঁস করছেন বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন, এগুলো আমাদের জন্য অমানবিক নির্যাতন।”

উল্লেখ্য, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে জাতীয় পর্যায়ের কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনাল শেষে গ্রান্ড ফাইনালে মুখোমুখি হয় বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জের রাশেদ খান মেনন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নথপুরের ইসহাকপুর পাবলিক হাই স্কুল। এবারে সারাদেশের মোট ৮৮০টি স্কুলের ১৭ হাজার ৬০০ বিতার্কিক অংশগ্রহণ করেছে।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036439895629883