একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির লক্ষ্যে আগামী ৭ মে রোববার থেকে শুরু হচ্ছে অনলাইনে নিবন্ধন। চট্টগ্রামে ভর্তি ইচ্ছুকদের বড় একটি অংশ এই নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করেন বিভিন্ন কম্পিউটার দোকান থেকে। এবারে একজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ১০টি কলেজের নাম চয়েজ দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবে, এই সুযোগকে ব্যবহার করে নগরীর নামসর্বস্ব কিছু প্রতিষ্ঠান কম্পিউটারের দোকনগুলোকে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা করে বকশিশ দিয়ে রাখছে। তাদের প্রতিষ্ঠানের নাম পছন্দনীয় ১০টি প্রতিষ্ঠানের নামের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়ার জন্য।
এক্ষেত্রে কয়েকটি দুর্নীতিগ্রস্থ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যারা প্রতিষ্ঠানের ভিতর পানের দোকানের পাশাপাশি কলেজ খুলে হাত-পা ধরে তদবির করে এমপিওভুক্ত হয়ে গেছে জামায়ত-বিএনপি জোট সরকারের সময় তারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও আছে যেখানের পিওনের সমান শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে নিয়োগবিহীন স্ব-ঘোষিত জোকার টাইপের অধ্যক্ষ আছে।
এমপিওভুক্ত এইসব প্রতিষ্ঠানে নির্বিঘ্নে নিশ্চিন্তে দুর্নীতি করার জন্য ১৫ বছরেরও অধিক সময় ধরে ৮ থেকে ১০ টি বিধিসম্মত শূন্যপদ খালি পড়ে আছে। অফিস সহকারি, কেরানি, পিয়ন, অধ্যক্ষ বিহীন এইসব প্রতিষ্ঠান অল্পসংখ্যক শিক্ষক দিয়ে যেনতেন উপায়ে চলছে। শিক্ষার্থী ধরতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। তাদের এই কুট-কৌশলের ফাঁদে পড়ে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি ফি, মাসিক বেতন, বিভিন্ন ধরণের ফি এর পরিমান সদ্য অলোচিত অন্যন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়েও ক্ষেত্র বিশেষে বেশি। তবে দেয়া-নেয়া সিস্টেমে প্রশাসনের ছায়ায় থাকা এই সব দুর্নীতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠান দেশের প্রচলিত সকল আইনের উর্ধ্বে চলে গেছে।
এই সকল দুর্নীতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠানের পিয়ন-কাম অধ্যক্ষরা আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে প্রকাশ্যে দুর্নীতি ও অনিয়মের মহোৎসব করছে। এই সকল দুর্নীতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠাবাজেরা প্রশাসনের সহযোগিতা সার্বজনীনতা লাভ করায় যেকোন সরকারের সময় প্রশাসনের ছায়ায় নিরাপদ থাকে।
লেখক: নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক অভিভাবক
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়]