একাদশ শ্রে্ণিতে ভর্তি রেজিস্ট্রেশন বাতিলের দাবিতে নীলফামারীর ডিমলায় রবিবার মানববন্ধন করেছেন “সোনাখুলি হাজী জহরতুল্লাহ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়”র এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা। ডিমলা সদরের জেলা পরিষদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে প্রধান রাস্তায় মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে শতাধিক এইচএসসিতে ভর্তিচ্ছু। সোনাখুলি হাজি জহরতুল্লাহ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারে এসএসসি পাস করে বিজ্ঞান বিভাগে ৪৭ ও মানবিক বিভাগে ৭৪ জনসহ ১২১ জন পরীক্ষার্থী। উক্ত স্কুল থেকে পাস করা বায়েজিদ বোস্তামি অভিযোগ করে বলেন, আমারসহ অন্তত শতাধিক এইচএসসিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। অথচ আমরা কিছুই জানি না।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ রেজিস্ট্রেশনে মাত্র একটি কলেজ ‘শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ’ পছন্দের তালিকায় রাখা হয়েছে অথচ আমরা কিছুই জানি না। আমরা ওই কলেজে ভর্তি হব না।
বিষয়টি নিয়ে স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারছেন না। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন বাতিলের জন্য আমরা দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যারসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আরেক শিক্ষার্থী অপু রায় বলেন, আমরা ধারণা করছি আমাদের স্কুল এবং শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজ কর্তৃপক্ষ যোগসাজশে করে আমাদের বন্দি করে রাখতে চাচ্ছে। আমরা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন মানি না। সোনাখুলি হাজী জহরতুল্লাহ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মুয়ীদ সজল জানান, তারা আমার প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করে বেরিয়ে গেছে। এখন নিজেদের পছন্দশীল প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। অনলাইনে কে বা কারা ঘটনাটি করেছে সেটি আমার জানা নেই। তবে ২৬ মে পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন পরিবর্তন করার সুযোগ রয়েছে। ‘শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ’ অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও না পাওয়ায় মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমেদ হোসেন বলেন, যারা এটি করেছেন তারা ঠিক করেনি। এটি ঘৃণিত কাজ। বোর্ডে অভিযোগ করলে পরিবর্তন করার সুযোগ থাকবে। মানববন্ধনে একই অভিযোগে ডালিয়া চাপানি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করেন। ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি জানানো হয় মানববন্ধন কর্মসূচিতে।