রাজধানীর ৩৫টি সরকারি স্কুলে অনলাইনে ভর্তির আবেদন শেষ হয়েছে সোমবার (১২ ডিসেম্বর)রাত ১২টায়। এবার প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার শূন্য আসনের বিপরীতে প্রায় ৬৫ হাজার আবেদন জমা পড়ে। এ হিসেব সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত। তবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মতে, রাত ১২টা পর্যন্ত আরো কয়েক হাজার আবেদন জমা পড়ার কথা। সেই হিসাবে এবার এক আসনের বিপরীতে লড়বে সাতজন শিক্ষার্থী।
জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর রাত ১২টা থেকে এই আবেদন শুরু হয়। মূলত সারাদেশের জেলাপর্যায়ের স্কুলগুলোতে এবার অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। তবে যেসব উপজেলায় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা পর্যাপ্ত রয়েছে তাদের আবেদনও অনলাইনে গ্রহণ করা হয়েছে। আবেদন ফি দেড় শ টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে।
মাউশি অধিদপ্তরের উপপরিচালক (মাধ্যমিক) এ কে মোস্তফা কামাল, ‘রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদনের সংখ্যা আরো বাড়বে। আর যারা আবেদন করেছে; কিন্তু টাকা জমা দিতে পারেনি তারা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত টাকা পরিশোধের সুযোগ পাবে। এমনকি যারা আবেদন করেও এখনো প্রবেশপত্র নিতে পারেনি তারা আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত তা অনলাইনে গিয়ে প্রিন্ট করে নিতে পারবে। ’
মাউশি অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগরীতে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩৫টি। সব মিলিয়ে শূন্য আসনসংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। তবে এর মধ্যে ১৪ স্কুলে প্রথম শ্রেণি রয়েছে, যেখানে আসনসংখ্যা তিন হাজারের উপরে।
জানা যায়, আগের মতোই এবারও ৩৫টি স্কুলকে তিনটি গুচ্ছে ভাগ করা হয়েছে। একজন শিক্ষার্থী একটি গুচ্ছের একটি স্কুলেই আবেদন করতে পেরেছে। আর এবারও গত বছরের মতো প্রতিটি স্কুলেই ৪০ শতাংশ ক্যাচমেন্ট এরিয়া অনুসরণ করা হবে। বাকি ৬০ শতাংশের মধ্যেও ১০ শতাংশ বিভিন্ন কোটার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ‘এ’ গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা ১৭ ডিসেম্বর, ‘বি’ গ্রুপের ১৮ ডিসেম্বর ও‘সি’ গ্রুপের ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির লটারি অনুষ্ঠিত হবে ২৪ ডিসেম্বর।
এ ছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে ৫০ নম্বরের এক ঘণ্টার ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ১০০ নম্বরের ২ ঘণ্টার পরীক্ষা নেওয়া হবে। আর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে বাংলা ১৫, ইংরেজি ১৫ ও গণিতে ২০ নম্বর করে মোট ৫০ নম্বরের এক ঘণ্টার এবং অন্যান্য শ্রেণিতে বাংলা ৩০, ইংরেজি ৩০ ও গণিতে ৪০ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বরের দুই ঘণ্টার পরীক্ষা নেওয়া হবে।