চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার হারদী গ্রামে আনিসুজ্জামান খান এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় প্রসাশনজুড়ে তোলপাড় উঠেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এতিখানার হাফেজি শিক্ষার্থী হাসানকে পিটিয়ে আহত করেন এতিমখানার পরিচালক মিডু খান। আজ শনিবার সকালে থানা পুলিশ মিডু খানকে আটক করে।
থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘটনা শোনার পরপরই ওই এতিখানার পরিচালক মিডু খানকে আটক করা হয়েছে। এবং নির্যাতিত শিক্ষার্থীকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
হারদী এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হারদী বাজারে মৃত আনিসুজ্জামান খানের ছেলে মিডু খান তার পিতার নামে একটি এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং প্রতিষ্ঠিত করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি আলমডাঙ্গার নিজ বাড়ি ছেড়ে এতিমখানার একটি কক্ষকে নিজের শোবার ঘর বানিয়ে সেখানেই বসবাস শুরু করেন।
গত দেড়মাস আগে এতিমখানার হাফেজি শিক্ষার্থী হাসান প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে ফেলার অপরাধে এতিখানা থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে হাসান দেড়মাস পর এতিখানায় তার পূর্বের পরিচিত বন্ধুদের সাথে দেখা করতে গেলে পরিচালক ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শুক্রবার রাতেই হাসানের মারপিটের ছবি স্থানীয় একটি ছেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দিন আহমেদের ফেসবুক আইডিতে ট্যাগ করলে প্রশাসনের ভেতর তোলপাড় ওঠে। ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর জেলা প্রশাসক ঘটনাটি তদন্ত করে দেখতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নানকে নির্দেশ দেন।
রাহাত মান্নানের নির্দেশে সকালে এতিখানার পরিচালক মিডু খানকে আটক করে থানা পুলিশ। নির্যাতিত শিক্ষার্থী হাসানকেও থানা হেফাজতে নেয়া হয়।