সারাদেশে বেসরকারী এমপিওভূক্ত কলেজগুলোর উচ্চমাধ্যমিক শাখায় ২০১০ সালে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের উপর অমানবিক শর্তের তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অনুমতিপ্রাপ্ত বিষয়সমূহ অনেক আগেই পেয়েছে বোর্ডের স্বীকৃতি।
কিন্তু মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্রের সূত্র ধরে বোর্ডের স্বীকৃতিপত্রে ২ বছরের মধ্যে এমপিও না হওয়ার শর্তের পাশাপাশি কারো কারো ক্ষেত্রে শর্ত হিসেবে উল্লেখ রয়েছে ‘ পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত স্ব-অর্থায়নে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।’ নিয়োগের ৫ বছর অতিবাহিত হলেও মন্ত্রণালয়ের ‘পরবর্তী সিদ্ধান্ত’ আর জানা গেলনা।
বারবার এমপিও’র জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করলেও প্রাপ্তির খাতা শুন্য। অবশ্য প্রতিবারই কলেজ অধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডির সভাপতি বরাবর চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়া হয় ‘ উক্ত বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত স্ব-অর্থায়নে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।’ এই শর্ত থাকায় এমপিওভূক্তি করা গেলনা। আর এভাবেই অনিশ্চিত স্বপ্ন নিয়ে শর্তযুক্ত বিষয়সমূহের অদম্য শিক্ষকগণ শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে এমপিওভূক্ত কলেজসমূহের এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের বেতনবৃদ্ধির মহোৎসবের মাঝে একই কলেজের উচ্চমাধ্যমিক স্তরের এমপিওবিহীন শিক্ষকদের নিরস মুখগুলো যেন তীর্থের কাক। ৫ বছর ধরে এমপিওভূক্ত কলেজে বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে অনুমতি, স্বীকৃতি মিললেও শর্তের কারণে এমপিওভূক্ত না হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছেন সংশিষ্ট শিক্ষকেরা।
সুলতান মামুন: প্রভাষক, ধোবাউড়া মহিলা কলেজ, প্রতিনিধি দৈনিকশিক্ষাডটকম ধোবাউড়া, ময়মনসিংহ।