কেবল শিক্ষক নয় বগুড়া জেলার ‘বগুড়া কলেজ’ পুরো প্রতিষ্ঠানটিই চলছে জালিয়াতির মাধ্যমে। এর থেকে বাদ যায়নি কলেজের কর্মচারীরাও। প্রতিষ্ঠানটির ডিগ্রি স্তরের মোট ২০ জন শিক্ষক-কর্মচারী সকলেই এমপিওভুক্ত হয়েছেন জালিয়াতির মাধ্যমে। আর এতে বেশ আরাম আয়েশেই কেটে যাচ্ছিল তাদের দিনকাল!
তবে আরামের দিন মনে হয় শেষ হতে চলেছে। কারণ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এ বিষয়ে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে।
নোটিশে জানা যায়, বগুড়ার এই কলেজটির ডিগ্রি স্তরের কোন এমপিও কোডই নেই। কিন্তু কলেজের ডিগ্রি স্তরের রয়েছেন শিক্ষক এবং কর্মচারী। শুধু তাই নয় অধ্যক্ষ থেকে শুরু করে তারা সবাই এমপিওভুক্তও হয়েছেন। কোন আলাদীনের চেরাগের বদৌলতে তাদের এই আমুল উন্নতি সেটাই জানতে চেয়েছে মাউশি।
গত ৮ আগস্ট মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. হেলাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত নোটিশে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডিগ্রি স্তরের এমপিও প্রাপ্তি কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই শিক্ষক- কর্মচারীদের এমপিও কেন বাতিল হবে না এবং এখন পর্যন্ত সরকারি কোষাগার থেকে যে পরিমাণ অর্থ তারা পকেটে পূরেছেন তাও বা কেন ফেরত দেয়া হবে না, সাত দিনের মধ্যে তার কারণ দর্শাতে বলেছে মাউশি।
মাউশির নোটিশে দেয়া অবৈধভাবে এমপিওভুক্ত ২০ শিক্ষক-কর্মচারীরা হলেন: ইতিহাস বিষয়ের শিক্ষক ও কলেজের অধ্যক্ষ কে বি এম মুসা। আর প্রভাষকদের মধ্যে রয়েছেন ইসলাম শিক্ষার এ এন এম নুরুল আমিন, অর্থনীতির তাহমিনা পারভীন, ইংরেজির আব্দুল্লাহেশ সাফী খান, বাংলার মো. নাসের আালী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সুলতান মাহমুদ, দর্শনের সুদেব চন্দ্র দাস গুপ্ত এবং লাইব্রেরীয়ান মো. নজরুল ইসলাম।
প্রদর্শকদের মধ্যে রয়েছেন: জীববিজ্ঞানের আব্দুর রব তালুকদার, পদার্থের রবীনদ্রনাথ বর্মন, মনোবিজ্ঞানের মো. ফেরদৌস জামান, ভূগোলের লিপি মজুমদার, সাচিবিকবিদ্যা ও অফিস ব্যবস্থাপনার এ টি এম নজরুল ইসলাম এবং কম্পিউটার তথ্য ও প্রযুক্তির সাহানারা বিলকিস। আর কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে ৩য় শ্রেণির মো. জাহিদুর ইসলাম, ৪র্থ শ্রেণির জিয়াদার রহমান, ৪র্থ শ্রেণির মো. মমতাজুর রহমান, ৪র্থ শ্রেণির আবু হাসান, ৪র্থ শ্রেণির ফিরোজুল ইসলাম এবং ৪র্থ শ্রেণির আব্দুর মান্নান।