এমপিওভুক্তির আগে সনদ যাচাই বাধ্যতামূলক করেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। জাল সনদ নিয়ে গোঁজামিল দিয়ে নিয়োগ পেয়ে ঘুষ দিয়ে এমপিওভুক্ত হওয়ার দিন শেষ। শিক্ষা সনদ যাচাই না হলে নিয়োগ পাওয়ার পরও বহুদিন অপেক্ষা করতে হবে এমপিও প্রত্যাশীদের। অধিদপ্তরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা দৈনিকশিক্ষাডটকমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
তারা বলেছেন, নিয়োগ পেয়ে এমপিওভুক্ত হওয়ার বহু বছর পর ধরা পড়ছে জাল সনদ, অমুক-তমুক। শেষ রক্ষা পেতে নানা ফন্দিফিকির করে কাটিয়ে দেন অনেকেই। এরপর অবসরে গেলেই ল্যাঠা চুকে যায়। কিন্তু কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন অপসংস্কৃতির অবসান ঘটেছে।
বাধ্যতামূলক সনদ যাচাই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এমপিওভুক্তির লক্ষ্যে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪৪ জন শিক্ষক-কর্মচারিদের সনদ পুনর্যাচাইয়ের জন্য সব প্রয়োজনীয় সনদপত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ই আগস্ট) কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর জারি করা এক আদেশ এ খবর জানা গেছে।
আদেশে বলা হয়, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন এমপিওভুক্ত বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারিদের এমপিওভুক্তির লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে যাচাই হয়েছে। তবে যাচাই কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে ৪৪ জন শিক্ষক-কর্মচারিদের প্রাথমিক যাচাইয়ে প্রাপ্ত সনদসমূহ পুনঃ যাচাইয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ (যে ক্ষেত্রে যে কর্তৃপক্ষ প্রযোজ্য) বরাবর প্রেরণ করা প্রয়োজন। পুনর্যাচাই প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তি সভায় এমপিওভুক্তির বিষয়ে উপস্থাপন করা হবে বলে জানানো হয়।
যাচাই প্রতিবেদনের সাথে সকল সনদ, প্রশিক্ষণ সনদ এবং অভিজ্ঞতা সনদ জেলা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত হিসেবে সংযুক্ত করতে হবে।
৪৪ জনের তালিকায় বিএম শাখার ৩৬ জন এবং ভোকেশনাল শাখার শিক্ষক-কর্মচারি রয়েছে ৮ জন।
আদেশে আরও বলা হয়, এই অফিস আদেশ জারির পর এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে জাল সনদ, ভুয়া নিবন্ধন ও ভুয়া প্রশিক্ষণ সনদসহ অন্য কোন ভুয়া তথ্য পরিলক্ষিত হলে এমপিও প্রদান স্থগিত বা বাতিল বলে গণ্য হবে এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা করা হবে।