এমপিওভুক্তির নীতিমালা চূড়ান্ত পর্যায়ে - দৈনিকশিক্ষা

এমপিওভুক্তির নীতিমালা চূড়ান্ত পর্যায়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক |

স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

সোমবার (১২ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী একথা জানান।

লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, শিক্ষকদের শ্রেণী কার্যক্রমে আরো বেশি মনোযোগী করতে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নতি করা হয়েছে। এতে তাদের আর্থিক সুবিধা ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে।

মন্ত্রী জানান, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা সমমানের সরকারি শিক্ষকদের বেতন স্কেলের শতভাগ  পাচ্ছেন সরকারি কোষাগার থেকে। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরও জুলাই ২০১৫ থেকে নতুন জাতীয় স্কেলে ২০১৫ অনুসারে বেতন দেওয়ার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। জুলাই ২০১৬ থেকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা ৫০০ টাকার জায়গায় এক হাজার টাকা হারে দেওয়া হবে। ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ইবতেদায়ী মাদরাসার ভাতার আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৪ জন করে শিক্ষককে ৫০০ টাকার পরিবর্ততে এক হাজার টাকা হারে ভাতা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, শিক্ষকদের পাঠদানে সৃজনশীলতা আনার লক্ষ্যে সৃজনশীল বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। বিগত দুই বছরে ৭৮ হাজার শিক্ষককে সৃজনশীল বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

সরকারি দলের সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস রোধে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পরীক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা চলার সময় কেন্দ্রে মোবাইল বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে সচিব ছাড়া অন্যান্য শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার কিংবা বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেন্দ্র সচিবও পরীক্ষা কেন্দ্রে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। যেসব কেন্দ্রে এর ব্যত্যয় পাওয়া গেছে এবং যাবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

তিনি আরো জানান, ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এইচ এস সি পরীক্ষার প্রথম দিনেই ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহের সময় সঙ্গে মোবাইল রাখার দায়ে ৩ জন শিক্ষককে পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্ব থেকে

অব্যাহতি দিয়ে তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির সদস্য একে এম মাঈদুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, কলেজ শিক্ষকরা প্রথম শ্রেণীর ও গেজেটেড কর্মকর্তা, দ্বয়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে গেজেটেড কর্মকর্তাদের দৈনন্দিন হাজিরা দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। তবে কলেজের শিক্ষকরা নিয়মিত কলেজে আসেন। শিক্ষকদের নিয়মিত হাজিরা নিশ্চিত করতে দেশের কিছু সরকারি ও বেসরকারি কলেজে নিজস্ব অর্থায়নে কার্ড পাঞ্চিং চালু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জাসদের সদস্য লুৎফা তাহেরের প্রশ্নের জবাবে নূরুল ইসলাম নাহিদ জানান, কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে নারী শিক্ষার্থীদের ঝরেপড় রোধে নানাবিধ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কারিগরিতে ছাত্রী এনরোলমেন্টের হার ১০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এ বছর পলিটেকনিকে ছাত্রীদের ভর্তির হার ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ডিপ্লোমা পর্যায়ে ছাত্রীদের জন্য ২০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৭৬৪ জন, ২০১৯ সালে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৭২২ জন এবং ২০২০ সালে ৬ লাখ ৪৭ হাজার জন ছাত্রী ভর্তির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে ছাত্রীদের কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের - dainik shiksha পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার - dainik shiksha ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0057988166809082