শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্তির পরবর্তী সভা কাল মঙ্লবার (২৫ জুলাই) অনুষ্ঠিত হবে। অনলাইন আবেদন ও বিকেন্দ্রীকরণের পর থেকে এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত মাঠ পর্যায় থেকেই হয়ে আসে। অধিদপ্তরের সভায় শুধু সারাংশ নিয়ে আলোচনা ও অনুমোদন দেয়া হয়। ফলে গোঁজামিল দেয়া সহজ হয়।
বরাবরের মতোই মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান পদাধিকার বলে এমপিওভুক্তির সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ইনডেক্সধারী, ইনডেক্সবিহীন (নিবন্ধনধারী), সহকারি গ্রন্থাগারিকদের এমপিওভুক্ত করা হবে। প্রভাষকদের সহকারি অধ্যাপক পদে পদোন্নতির স্কেল, টাইমস্কেল, অভিজ্ঞতার স্কেল, বিএড/এমএড স্কেল, কামিল স্কেল দেয়ার বিষয়টিও আলোচ্যসূচিতে রয়েছে।
সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তিনজন উপ-সচিব ও সহকারি সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন), পরিচালক (মাধ্যমিক) ও আঞ্চলিক পরিচালক এবং উপ-পরিচালকগণ উপস্থিত থাকবেন।
নাম না প্রকাশের শর্তে অধিদপ্তরের একজন উপ-পরিচালক বলেন, সর্বশেষ ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এন্ট্রি লেভেলে (সহকারি শিক্ষক, প্রভাষক, মৌলভী শিক্ষক) নিয়োগ শেষ হয়েছে। তাদেরতো জানুয়ারি মাসের এমপিও সভায় এমপিওভুক্তি চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার কথা। এই জুলাই মাসেও এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষকরা কোথা থেকে এলেন, কীভাবে নিয়োগ পেলেন? এন্ট্রি লেভেলে নিয়োগের লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষমতা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের হাতে দেয়া হয়েছে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে।
অধিদপ্তরের অপর এক সহকারি পরিচালক বলেন, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ২০০৫ খ্রিস্টাব্দের আগে নিবন্ধনবিহীন লোকদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেখিয়ে এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে।