এমপিওভুক্ত হতে পারবেন আরও প্রায় দুই হাজার শিক্ষক ও কর্মচারী। যারা ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই নভেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপনের পূর্বে যে কোনও শর্তে অনুমোদন পাওয়া অতিরিক্ত শ্রেণি, শাখা ও বিভাগের বিপরীতে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত শুধু তারাই এ সুযোগ পাবেন। এমনকি কলেজে নিয়োগ প্রাপ্ত কম্পিউটার শিক্ষকরাও এমপিওভুক্ত হতে পারবেন।
এ সংক্রান্ত গত ২৪শে মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নুসরাত জাবীন বানু স্বাক্ষরিত একটা চিঠির ব্যাখ্যা নিয়ে মাঠ পর্যায়ের কতিপয় শিক্ষা কর্মকর্তা মনগড়া কথা বলছেন মর্মে শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র অনলাইন জাতীয় পত্রিকা দৈনিক শিক্ষার কাছে অভিযোগ করেছেন অসংখ্য শিক্ষক-কর্মচারী। তারা বলছেন, শিক্ষা কর্মকর্তারা যা-ই বলুক না কেন ২৪শে মে’র চিঠির বরাতে দৈনিক শিক্ষায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে তারা এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইনে আবেদন জমা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এমন পরিপ্রেক্ষিতে দৈনিক শিক্ষার পক্ষ থেকে চিঠির আলোকে এমপিওভুক্তির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন পরিচালক মঙ্গলবার (১৩ই জুন) বলেন, “১৩/১১/২০১১ এর প্রজ্ঞাপন জারির পূর্বে যে কোনও শর্তে অনুমোদন পাওয়া শাখায় অথবা শ্রেণিতে অথবা বিভাগে [কলেজের ক্ষেত্রে] বিধি মোতাবেক নিয়োগ পেয়েছেন তারাই এমপিওভুক্ত হতে পারবেন। এমনকি কম্পিউটার বিষয়ের প্রভাষক হলেও এমপিওভ্ক্তু হবেন।”
তিনি বলেন, “ওই সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত কোন শিক্ষক-কর্মচারী যদি চাকরি ছেড়ে দেন এবং ওই শূন্যপদে গতকালও যদি কেউ বিধি মোতাবেক নিয়োগ পেয়ে আবেদন করেন তবে তিনিও এমপিও পাবেন।”
পরিচালক বলেন, “মন্ত্রণালয়ের ২৪শে মে’র চিঠির আলোকে দু’একদিনের মধ্যেই শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এমপিওভুক্তির কার্যক্রমের বিষয়টি জানানো হবে।”
নুসরাত জাবীন বানু স্বাক্ষরিত ২৪শে মে’র চিঠির মূল বিষয় এরকম: “নির্দেশক্রমে জানানো যাচ্ছে যে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১৩/১১/২০১১ তারিখে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের পূর্বে অতিরিক্ত শ্রেণি/শাখা/বিভাগ এর বিপরীতে বিধিমতে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের যথানিয়মে এমপিওভুক্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৩/১১/২০১১ তারিখে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলতে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বুঝানো হয়েছে।”